সময়ের প্রত্নতত্ত্ব ও অন্যান্য | Samayer Pratnatattwa O Anyanya

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
সময়ের AYSY ও অন্যান্য সাহিত্য-আলোচনায় তাঁর অমোঘ উপস্থিতি তর্কাতীত | তবু এও সত্য যে সার্বিক বিনির্মাণের এপর্যায়ে কোনো নির্দিষ্ট বিন্দুতে সাহিত্য-চিত্তা রুদ্ধ থাকতে পারে না। ভারতীয় উপমহাদেশে বাঙালির সাহিত্য-চিস্তাও নতুন বিশ্ব-পরিস্থিতির অভিঘাত অস্বীকার করতে পারে AT অন্ধ হলে কি আর প্রলয় বন্ধ থাকে ? চিত্তাচেতনায় কোনো ভূগোলের সীমারেখা স্বীকৃত নয়। তা যদি হত, বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার রুদ্ধ থাকত তার উৎসভূমিতে। মানুষের পৃথিবীতে যত কিছু নতুন উদ্ভাসন হয়ে চলেছে, তাতে প্রত্যেকের অধিকার স্বতঃসিদ্ধ | যদিও জ্ঞান আর প্রতাপ অন্যোন্যসম্পৃক্ত এবং তথ্য-উপনিবেশবাদ Vays সক্রিয় — মননবিশ্ব এক ও অবিভাজ্্য। সেখানে নতুন ধরনের “হ্যাভ” আর 'হ্যাভ-নট' এর বিভাজন মেনে নেবে না CHG | যেহেতু তাৎপর্য সর্বদা প্রসঙ্গ-নির্ভর, প্রতিটি গ্রহীতা সমাজ নতুন চিত্তা-চেতনাকে নির্বিচারে একইভাবে প্রয়োগ করবে না। নিজের সাংস্কৃতিক ও এঁতিহাসিক প্রয়োজন অনুযায়ী যতখানি নেওয়ার নেবে, বাকিটুকু বর্জন করবে। বস্তুত একই তত্ত্ববীজ ভিন্ন ভিন্ন মননভূমিতে আলাদা-আলাদা ফসল উৎপাদন করতে পারে, করে থাকেও | তত্তববীজের উপযোগিতা পরখ করতে গিয়ে চিত্তার অভ্যাসে রেখিকতা ভেঙে যায়। শেষ পর্যন্ত তার প্রায়োগিক সম্ভাবনা যতটুকু থাক না কেন, বহুদিনের প্রাতিষ্ঠানিক মনন সম্পর্বে তাতে যে প্রশ্ন দেখা দেয — এব গুরুত্ব অনেকখানি | বিশেষত সাহিত্যিক পাঠকৃতির বিশ্লেষণে নিরস্তর বিনির্মাণ সবচেয়ে জরুরি। মননের প্রাতিষ্ঠানিক ধরন প্রশ্নের সম্ভাবনাকে শ্বাসরুদ্ধ করে দেয়। তাই নতুন-নতুন জিজ্ঞাসা উসকে দেওয়ার অর্থ যাবতীয় বদ্ধতা-নিষ্ক্রিয়তা-অনীহার জটাজাল থেকে চেতনাগঙ্গার মুক্তি । এই প্রক্রিয়াকে গতিময় করে তোলে নতুন নতুন তত্তববীজের সাহসী ও নিরবচ্ছিন্ন কর্ষণ। অর্থাৎ চিত্তাবীজের ব্যবহার উপযোগিতা আর ফসলের জমি তৈরির কাজ একই প্রক্রিয়ার এপিঠ আর ওপিঠ। bia বাঙালির চিস্তাবিশ্বে উনিশ শতক যে অভূতপূর্ব আলোড়ন তুলেছিল, তাতে বহুদিনকার রৈখিকতা ও অভ্যাসের গণ্ডি ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। আঠারো শতক পর্যন্ত ব্যাপ্ত সামাজিক ধারাবাহিকতায় বিপুল ছেদ নিয়ে এসেছিল প্রতীচ্যের অজন্র ভাববীজ। সেদিনকার রক্ষণশীল সমাজ যাবতীয় নতুনের বিরুদ্ধে উৎকটভাবে রুখে দাঁড়িয়েছিল, কিন্তু ইতিহাসের চাকা সব অচলায়তন গুঁড়িয়ে দিয়ে এগিয়ে গেছে। অবশ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা লক্ষ করার মতো নবীন প্রজন্মের যারা নির্বিচারে ও প্রসঙ্গবিচ্ছিন্ন ভাবে প্রতীচ্যের ভাববীজকে মান্যতা দিয়েছিলেন নিজেদের মুদ্রাদোযে ক্রমে তারা আলাদা, কক্ষচ্যুত ও নিঃসঙ্গ হয়ে গেছেন। অন্যদিকে নবাগত তত্তববীজ ও কর্ষণযোগ্য ভূমির দ্বিবাচনিক সম্পর্ক ১৪



Leave a Comment