আশাপূর্ণা : নারী পরিসর | Ashapurna : Nari Parisar

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১৪ আশাপূর্ণা * নারী পরিসব পর্যবসিত হল সেদিন থেকে খোঁজ পড়েছে, অনেকেই খুঁজতে লেগেছে। 'বকুলকথা*র বকুল এদেরই অগ্রবর্তিনী হয়ে বুঝতে পেরেছিল, “পিতামহী, প্রপিতামহীদের খণশোধ না-করে নিজের কথা বলতে AB’ | তার কথার প্রতিধ্বনি শুনছি এ যুগের নারীচেতনাবাদীদের কণ্ঠে । তা সত্যবতীও তো একজন পূর্বমাতৃকা। তাকে কেমন দেখছি “প্রথম প্রতিশ্রুতির race? 'নাকে নোলক, কানে সার TAY, পায়ে ঝাঝর মল, বৃন্দাবনী ছাপের আটহাতি শাড়ি পরা আট বছরের ASAT! বিয়ে হয়ে গেছে বছর খানেক আগে। এখনও WPS হয়নি। অপ্রতিহত প্রভাবে পাড়াসুদ্ধ ছেলেমেয়ের দলনেত্রী হয়ে যথেচ্ছ খেলে বেড়ায়”। তবে এটাই তার আসল রূপ নয়, বহিরঙ্গের রূপ মাত্র । অস্তরঙ্গে সত্যবী অন্যরকম-_সে-যুগের এক উজ্জ্বল ব্যতিক্রম। এরাই তো পথ কাটার মানুষ। উপন্যাসের কাহিনির বিস্তীর্ণ areca যাওয়া যাবে না। ঘটনাচক্রে ABI জেঠতুতো দাদা বিবাহিত রাসবিহারী তথা রাসুর দ্বিতীয় বিয়ে এবং বউ নিয়ে বাড়ি আসার দিনের ঘটনায় সেই অন্য ATS Borer উঠল আমাদের চোখের সামনে। কাকা রামকালী সদ্য বিয়ে হওয়া বর-কনে নিয়ে বাড়ির দুয়ারে এসে গেছেন। | BMA সব হচ্ছে নিয়ম মেনে। দুধ ওথলানোর জন্য রাসুর প্রথম পক্ষের বৌ সারদাকে ডেকে-আনার কথা ঠাকুমা দীনতারিনী যেইমাত্র বললেন, অমনি ঠিকরে উঠে সত্যবতী বলে উঠল--_'বৌকে? বড়দার বৌকে ডেকে দেব? বৌ কী আর বৌ তে আছে? ভোর থেকে মাটিতে পড়ে কেঁদে কেঁদে মরছে!” অথচ APA AMT পক্ষের বৌ সারদার মনের জ্বালা, অপমানের আঘাত বোঝার মতন বয়স তো সত্যবতীর হয়নি, মাত্রই আট বছরের মেয়ে । আর এই মেয়েটিই কিনা তার ভারিক্কি ASA মেজাজের বাবাকে মুখের উপর বলে দিল--'আমি কী আর সাধে আগুনে হাত দিয়েছি বাবা, বড়বৌয়ের মুখ চেয়েই দিযেছি। আহা বেচারি, একেই তার ASA AIA জ্বালা, তার উপর আবার দুধ ওথলানোর হুকুম। মানুষের প্রাণ তো!” ABA জীবনভর ওই “মানুষের প্রাণ'টির দিকে চোখ রেখে চলেছে। স্বামী গ্রামের বাড়িতে বিনা চিকিৎসায় মরতে বসলে সাহেব ডাক্তার আনিয়ে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করে আলোড়ন তুলে তার বাসাবদল করে কলকাতায় চলে আসা, সেখানে সংসার পেতে ছেলেমেয়েদের সুশিক্ষার ব্যবস্থাপনায় তার স্বাধীন সত্তার প্রকাশ AIS BO করেছে। অন্যরা সত্তার বদলে শান্তি কিনে বেঁচে থাকতে চেয়েছে, আত্মার বদলে আশ্রয়-চিত্তা ছাড়া তো অন্য উপায় ছিল না তাদের। AAG উপলব্ধি করেছে, সমাজ ওদের সহায় নয়, অভিভাবকরা ওদের অনুকূল নয়, প্রকৃতি পর্যন্ত ওদের প্রতিপক্ষ। ওরা অন্ধকারের জীব। এই অবস্থানের বিরুদ্ধেই ছিল সত্যবতীর আপসহীন বিদ্রোহ | একমাত্র মেয়ে সুবর্ণলতাকে বেথুন স্কুলে ভর্তি করিয়ে সত্যবততী ভেবেছিল তার জীবনের সমস্ত অপূর্ণতা মেয়ের জীবনে সম্পূর্ণ করে তুলবে। গরমের ছুটিতে আট বছরের সুবর্ণলতাকে বারুইপুরের দেশের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ব্যক্তিত্বহীন পিতা যখন মায়ের আদেশ শিরোধার্য করে সত্যবর্তীর অজান্তে বিয়ে দিয়ে বসলেন তখন ASIA আর যুদ্ধ করার প্রবৃত্তি থাকল না। স্বামীর মত-অনুরোধ উপেক্ষা করে তৎক্ষণাৎ ত্রুর সমাজ, সাধের সংসার ত্যাগ করে কাশীবাসিনী হল। সংসার ত্যাগের আগে ATG নাকি AeA AA নাগপাশ না লতাপাতার বন্ধন তাই দেখেব বাকি জীবনটা | শেষ পর্যন্ত কী দেখেছিল সে তো জানা যায়নি। তবে সুবর্ণলতাকে লেখা শেষ চিঠি,



Leave a Comment