সপ্তপর্ণী | Saptaparni

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
অগষ্টাসদের SGA কবে যেন বাংলা দেশের মাটির সঙ্গে মিশে গিয়েছে + ল্যাটিন প্রার্থনার হরফগুলোর ফাটলে এখন পরম নিশ্চিন্তে বাসা বেঁধে বিচরণ করে সরীস্থপ। রাতে নাকি গোরস্থানে আজও ভূত দেখা যায়। সাহেব-মেমরা ভূতুড়ে ঘোড়ার গাড়ী চড়ে এসে Frets এখানে। পুরনো দারোগা- সাহেব সাহসী মানুষ। কাশিমবাজার থেকে ডাকাতির মামলা মিটিয়ে মাঝ রাতে ফিরতে স্বচক্ষে দেখলেন। পরদিন সকলের কাছে গল্প করলেন। নতুন গোরস্থানটা বুঝি ai xara গোরস্থানটাকে দেখে হাসে। কবে পলাশীর পালা শেষ হয়ে গিয়েছে। কাশিমবাজার লালবাগের কুঠিগুলোতে আজ বসেছে সরকারী অফিস waa sta শেষ রাজা থিব-র ভাঙা কবর ঘিরে যত গল্প-কথ৷ ছিল সব বাতিল করে দিয়ে নতুন সরকারী সড়ক চলে এসেছে কলকাতা কেষ্টনগরের বাস ট্রাক নিয়ে । সামনেই উদ্বাস্তদের বসতি। রাতে কাজ সেরে ঘরে ফিরতে তাদের ঝি, cael এতটুকু ভয় পায় না। মুশিদকুলি খাঁ-তে ye আর কোম্পানীর জমজমায় শেষ যে সময়টা সেটা একেবারেই মরে গিয়েছে। জাকালে! গল্প গুজবের Afewe নেই । বড় বড় শিরীষ মেহগনির গাছ, ভাঙাচোরা কুঠি আর সমাধি, সিরাজের মুপিদাবাদের মরা জাকজমকও যেন এই যুগে নতুন করে মরলো | ভয় নেই, ভূত CA, ইতিহাস এই নতুন দিনকালের ওপর এতটুকু শেকড় গাড়তে পারেনি। নতুন গোরস্থানে ঝকঝকে পাঁচিল, সবুজ ঘাসের ময়দান, কেয়ারী করা ফুলবাগান, গুটিকয় সমাধি আর এখানে সেখানে কয়টি তরুণ কৃষ্ণচূড়া শিরীষ, দেবদারু গাছ। মাঝখানে ময়দানটার ব্যবধান। ভাঙাচোরা দিনকালের মরা সাক্ষী এ গোরস্থানটাকে দেখে দেখে নতুন গোরস্থানটা বুঝি ব্যঙ্গ করে। ৫



Leave a Comment