মধুরে মধুর | Madhure Madhur

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
নয়ন বাণে-- সে হাসি যে কেমন হয় তা রাধা জানে না। আজও চাহনি তার সরল । এ যেন সবে উন্মেষের AAT | সেই জন্যে তার সম্পর্কে কঠমণির একটা স্ককঠোর দায়িত্ব-বোধ আছে। বড় গুণবতী মেয়ে রাধা। নৃত্য-ছন্দ সহজেই সঞ্চারিত হয় তার চরণে। তার এই Ty স্কুমার ব্যক্তিত্ব, দেহমনের এই শুচিত মণিপুরী নৃবত্যশিল্পীর পক্ষে বড় প্রয়োজন | তাই রাধার প্রতি তার একটা ACHE সতর্ক ভাব আছে। যে মেয়ে দেশ ঘর ছেড়ে এত দুরে শুধু শিখতে এসেছে তার কাছে, তার সম্বদ্ধে তার দায়িত্ব আছে বৈকি! অন্ততঃ তার কাছে থাকার সময়ে তার জ্ঞাতসারে যেন কোন অপ্রীতিকর ঘটনা! না ঘটে রাধাকে নিয়ে। আশ্রম জীবনের শুচিতার দিকে কণ্ঠমণির তীক্ষ সজাগ দৃষ্টি। নিজে তিনি শিল্পী হৃদয়-মনের আবেগ-অঙনভূতির বহিঃপ্রকাশে কোন উদ্দামতা, অস্থিরতা বা অসংযম HA করতে পারেন না BIA তাই তার আশ্রমের জীবন প্রবাহ-ও চলে শান্ত, স্থির ও স্থ-সম গতিতে | এই শান্ত বৈচিত্র্যহীন আশ্রমিক জীবনে হঠাৎ একদিন আন্দোলন জাগল। খেয়াল খুসীর হাজারটা পাগলামি নিয়ে দমকা! বাতাসের মতো এসে পড়ল সাধন । WA সচকিত হলেন । তারপরেই তার নির্বেদ Sioa! অন্তরে কোথায় অনুভব করলেন অস্থিরতা। এমন অস্থিরতা তিনি যৌবনেও জানেননি। এ অস্থিরতার জাত অন্ত। প্রস্তুত ছিলেন না বলেই আরও বিভ্রান্ত হলেন বেশী। অনন্তের মধ্যে জাত শিল্পী দেখলে মর্যাদা দেবার আগে যাচাই করতে চায় মন। কণঠমণি আশ্চর্য হলেও স্বীকার করলেন-_ যা, এ সাচ্চা হীরে। পালিশ থাক আর নাই থাক। seat বড়ঠাকুরের নামটুকু সম্বল ক'রে এসে পৌঁছল সাধন সন্ধ্যেবেলা। ঠাকুর এখন কারো সঙ্গে দেখা করেন না--এ কথা শুনে সে বলে--তাকে দেখব বলে আমি আসছি সেই SOTA থেকে | ৫



Leave a Comment