সাধন-সমর বা দেবী-মাহাত্ম্য [খণ্ড-২] [সংস্করণ-৬] | Sadhan-samar Ba Devi Mahatmya [Vol. 2] [Ed. 6]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
৬ মহিযাসন্ুর তদ্বিপরীত অর্থাৎ বিষয়াসক্ত বৃত্তি সকল aya) উভয় পক্ষই পরস্পরের বিষয় অপহরণে সমুদ্যত zeal নিয়ত-সংগ্রাম করিতেছে | প্রাণিগণের শরীরে উভয়বিধ বৃত্তিই আছে। শান্ত্রদ্রান অন্ত পরমাত্মবিষয়ক Sings এবং বিষয়ভোগবামনারূপ ইন্দরয়বৃত্তি। এই উভয়বৃত্তিরই cay দ্বেষকভাব satire” এইরূপে আমরা Nel উপনিষদ্‌ এবং জগদ্গুরু শঙ্করাচার্য্যের ভাষ্য হইতে দেবার ও তাহাদের পরস্পর সংগ্রাম-রহস্ত অবগত হইয়া দেবীমাহাত্ম্যে অবগাহন' করিব। পক্ষান্তরে ইহাও বিবেচ্য যে, বেদাদি যাবতীয় শাস্ত্রে যদিও দেবান্ুর প্রভৃতির এইরূপ আধ্যাত্মিক রহস্তই ব্যাখ্যাত হইয়াছে, তথাপি এরূপ 92 cata প্রাণী যে থাকিতে পারে না, এ প্রকার ধারণা করিবারও কোন হেতু নাই। স্থূল সুন্দর ও কারণ তিনই সমান সত্য। এ সকল কথা বিস্তৃত ভাবে প্রথমখণ্ডে বলা হইয়াছে I _ যখন মহিষ নামে AA MAAC রাজা, এবং পুরন্দর দেবগণের রাজ! অর্থাৎ ইন্দ্র ছিলেন, তখনই এই দেবাস্দুর সংগ্রাম সংঘটিত হইয়াছিল। মহিযাস্বুর--রজোগুণ। গীতায় উক্ত হইয়াছে, “কাম এষ: ক্রোধ এষ রজোগুণসমুষ্তব?” কাম এবং ক্রোধ রজোগুণ হইতে উদ্ভুত হয়। আবার অন্যত্র মানসপুজা-বিধানেও কথিত আছে-_“ক্রোধঞ্চ মহিষং wore” অর্থাৎ ব্রোধকে মহিষরূপে কল্পনা করিয়া দেবীর উদ্দেশ্যে বলিদান করিবে। যদিও এস্থলে কেবল ক্রোধকেই মহিষরূপে উল্লেখ করা হইয়াছে, তথাপি আমরা! মহিষ শব্দে কেবলমাত্র ক্রোধকে না বুঝিয়া, যাহা হইতে ক্রোধের অভিব্যক্তি, সেই রজোগুণকেই মহিষামন্মুর বুঝিয়া লইব। বাস্তবিক চণ্ডীর তিনটা রহস্য গুণত্রয়ের বিশ্লেষণ মাত্র। প্রথম চরিত্রে সত্বগুণের বহিবিকাশরূপী সংস্কারদ্বয় মধুকৈটভ নামে afte হইয়াছে। এই দ্বিতীয় চরিত্রে রজোগুণের বহিমুখী বিকাশ জন্য যে সঞ্চিত বহুত্ব- সংস্কার, তাহাই অনুরবৃন্দরপে বণিত হইবে। “এক আমি বহুভাবে



Leave a Comment