চৌরঙ্গী | Chowrangi

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
চৌরঙ্গী ২৩ বললাম, “ওয়েস্ট-পেপার বাস্ষেট। ভেরি VU ম্যাডাম! ভেরি স্ট্রং, STS ভেরি ভেরি ডেউরেবল।” কিন্তু বক্তৃতা কাজে লাগল না। মেমসায়েব তাড়িয়ে দিলেন। STS পা দুটোকে কোনোরকমে চালিয়ে বাইরে এসে দাঁড়ালাম। আপিসের দরজার সামনে বেঞ্চিতে বসে ইয়া গৌফওয়ালা এক হিন্দুস্থানি দারোয়ান খৈনি টিপছিলেন। মাথায় তার বিরাট পাগড়ি। পরনে সাদা তকমা। বুকের কাছে ঝকঝকে পিতলের পাতে কোম্পানির নাম জ্বল জ্বল PATH’ দারোয়ানজি আমাকে পাকড়াও করলেন। জিজ্ঞাসা করলেন, একটা ঝুঁড়ি বিক্রি করলে আমার কত থাকে। বুঝলাম দারোয়ানজির আগ্রহ আছে। বললাম, “চার আনা লাভ থাকে।” ঝুড়ির দাম জিজ্ঞাসা করলেন দারোয়ানজি। এবার আর বোকামি করিনি। সোজাসুজি বললাম, “পাঁচ Pree” দারোয়ানজি আমার হাতের ঝুঁড়িটা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে লাগলেন। সুযোগ বুঝে নিবেদন করলাম, “খুব ভালো Ale, একটা কিনলে দশ বছর নিশ্চিত্ত থাকা যাবে।” Bort হাতে করে দারোয়ানজি এবার আপিসের ভিতরে ঢুকে গেলেন। মেমসায়েব বললেন, “আমি তো বলে দিয়েছি yea দরকার নেই।” দারোয়ানজি কিন্তু ছাড়বার পাত্র নন। সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে দিলেন, “ঘোষবাবুর ঝুড়ি নেই। মিত্তিরবাবুর ঝুড়ি ভেঙে গিয়েছে। বড়সায়েবের ঝুড়িরও রং চটে গিয়েছে। ইস্টক মে ভি দো চারঠো রাখনে কো জরুরৎ রয়েছে।” সুতরাং মেমসায়েবকে হার মানতে হল। আমার একসঙ্গে RT ঝুঁড়ির অর্ডার মিলল। প্রায় লাফাতে লাফাতে ছাতাওয়ালা লেনে ফিরে এসেছি। আধ ডজন তারের ঝুঁড়ি এক সঙ্গে বেঁধে, মাথায় করে আপিসে চলে এলাম। দারোয়ানজি বাইরেই বসেছিলেন। আমাকে দেখে মৃদু হাসলেন ৷ ঝুড়িগুলো স্টকে পাঠিয়ে দিয়ে, মেমসায়েব বললেন, “টাকা তো আজ পাওয়া যাবে না। বিল বানাতে হবে।” ফিরে আসছিলাম। দারোয়ানজি গেটে ধরলেন। “corer মিলা?” বোধহয় ভেবেছেন, আমি ভাগ না দিয়েই পালাচ্ছি। বললাম, “আজ মিলল vt”



Leave a Comment