শরৎচন্দ্র ও তাঁরপর [সংস্করণ-১] | Sharathchandra O Tar Por [Ed. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
৩ শরৎচন্দ্র ও তার পর গভীরতা ও অগভীরতা নিয়ে নয়, সে-পার্থক্য মুখ্যত যুগ ও পরি- বেশের পার্থক্য । বঙ্কিমচন্দ্র যে-যুগের মানুষ সে-যুগে বাংলা দেশে জোরালো হয়েছিল জাতির পুনর্গঠনের প্রশ্ব। বন্কিমচন্দ্রের সমসাময়িক দুইজন খ্যাতনামা বাঙালী হচ্ছেন কেশবচন্দ্র সেন আর স্বরেন্দ্রনাথ বন্দ্যো- পাধ্যায়। এদের প্রথম জন জাতির পুনর্গঠনের কথা ভেবেছিলেন ধর্ম ও সমাজের ক্ষেত্রে, দ্বিতীয় জন, রাজনীতির ক্ষেত্রে । যাকে বলা হয় উদারমানবিক ও অসাম্প্রদায়িক জীবন-দর্শন তা কেশবচন্দ্র ও স্বরেন্দ্রনাথ ছুইজনকেই প্রবলভাবে আকর্ষণ করেছিল ৷ বস্কিম- চন্দ্রকেও যে আকর্ষণ করেনি তা নয়; তবে বন্কিমচন্দ্রের প্রতিভা ছিল সাহিত্য-প্রতিভা বা শিল্প-প্রতিভা, অর্থাৎ যা সাধারণ ও ব্যাপক ভাই নিয়ে তার প্রধান কারবার নয়, তার প্রধান কারবার যা বিশিষ্ট তাই নিয়ে; তাই দেশের বা জাতীয় জীবনের কথা৷ ভাবতে গিয়ে তিনি সাধারণভাবে মনুয্যত্র-সাধনের কথাই ভাবেননি, তিনি আকৃষ্ট হয়েছিলেন দেশের হিন্দু Afes, হিন্দূরূপ, এসবের পানেও। তার এই প্রবণতার অন্যকারণও ছিল--_সেইটি প্রবলতর,--তার সমসাময়িক শিক্ষিতদের একটি উল্লেবযোগ্য দল হয়ে পড়েছিলেন ইয়োরোপীয় রীতিনীতির অস্ধভক্ত--অসন্তুত এইই বন্কিমচন্দ্ের ধারণা হয়েছিল-_-তিনি রোধ করতে চেয়েছিলেন সেই গড্ডলিকা-প্রবাহ, বলতে চেয়েছিলেন, মানুষ এক হয়েও দেশে দেশে জাতিতে জাতিতে বিচিত্র ও বিভিন্ন, সেই বিচিত্রতা ও বিভিন্নতা উপেক্ষা করবার মতো বস্তু নয় আদে, উপেক্ষা করলে জীবন হয়ে পড়ে বাধনহীন ও রূপহীন, Boar প্রকৃত প্রস্তাবে অস্তিত্বহীন ।--শিল্পী সাহিত্যিকদের সামনে চিরদিনই দেখা দেয় এই বড় প্রশ্নট--জীবনের ক্ষেত্রে এই 'সাধার্ণ* ও “বিশিষ্টে*র যোগাযোগ কেমন হবে, কি রং কি রূপ গ্রহণ করে” তারা সার্থক হবে, এই সব | বলা বাহুল্য এই সব প্রশ্নের বিচিত্র উত্তর যুগে যুগে দেশে দেশে



Leave a Comment