অবভাস-বিজ্ঞান ও অস্তিত্ববাদ | Ababhas-bigyan O Astitwabad

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
৬ অবভাস-বিষ্তান ও অক্তিত্ববাদ আরশির মতো | বস্তুর প্রতিচ্ছবি আরশিতে যেমন অবিকল পড়ে, মনের ওপরও পড়ে তেমনি। আর তা থেকেই বস্তু সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান হয়। অপর দিকে OTS, স্পিনোজা (Spinoza), লাইবনিজ (Leibnitz) প্রমুখ বুদ্ধিবাদী (rationalist) দার্শনিকগণ বলেছিলেন যে জ্ঞান বুদ্ধিতে বা মনে বা চেতনায় পূর্ব থেকেই উপস্থিত থাকে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে দর্শনের ইতিহাসে একদিকে চলেছে অভিজ্ঞতাবাদ ও বুদ্ধিবাদের দ্বন্দ্ব এবং অপরদিকে চলেছে ভাববাদ ও বস্তবাদের দ্বন্দ্ব। কান্ট এই দু প্রকার দ্বন্দ্বেই সমাধান করতে চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সফলকাম হননি। জ্ঞানতত্ত্বের দিক থেকে তিনি বলেছিলেন যে জ্ঞানের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার যেমন প্রয়োজন আছে, Bars তেমনি বস্তু থেকে SUAS মাধ্যমে আমরা যে উপাত্ত পেয়ে থাকি সেগুলোকে বুদ্ধি জ্ঞানাকারগুলোর সাহায্যে সাজিয়ে নিলে তবেই জ্ঞান জন্মায়। আবার অধিবিদ্যার দিক থেকে তিনি বলেন যে প্রকৃত পরমতন্ত্বকে (noumenon অথবা Ding an Sich) আমরা কখনোই জানতে পারবো AT | পরিদৃশ্যমান বহির্জগৎ-কে তিনি বলেছেন অবভাস (phenomenon) | এই পরিদৃশ্যমান জগতের সৃষ্টি, হয় অগম্য বহির্জভগৎ ("Noumenal world") এবং আমাদের অগম্য আভ্যস্তরিণ জগৎ-এর বা আত্মার ("11001061131 self”) সংমিশ্রনে। কাজেই অবভাসিক বস্ত-জগৎ (reality) Who নির্ভর করে প্রত্যক্ষকারীর BAZ | এরূপ মতবাদকে বলা হলো দর্শনের ইতিহাসে (পাশ্চাত্ত্য) কোপার্নিকান বিপ্লব (Copermican revolution) | কিন্তু কান্টের দার্শনিক প্রচেষ্টা সম্পূর্ণভাবে সার্থক হলো না, কারণ পরমতন্ত্বের প্রকৃত স্বরূপ আমরা বুঝতে পারলাম না। তাছাড়া, তিনি দর্শনে কিছু পূর্বনুমান (presuppositions) মেনে নিয়েছেন। যেমন, তিনি বলেছেন যে দ্বাদশটি জ্ঞানাকার রয়েছে এবং এগুলোর সাহায্যে আমরা ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত উপায়গুলোকে সুসামজ্ঞস্য পূর্ণ করে তুলি। অপর দিবে হেগেল কান্টের জ্ঞানাকারগুলোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করলেন অত্যধিক | তিনি বললেন যে, জ্ঞানাকার বারটি নয়, অসংখ্য এবং এই জ্ঞানাকারগুলোই পরমতন্ত্ব। জ্ঞানাকারই পরিদৃশ্যমান জগৎ রচনা BA | এর ফলে বস্তময় জগৎ উবে গেলো। কাজেই হেগেলও GPAs সমাধান করতে পারেন নি বরং বলা যায় যে তিনি তাঁর যুক্তি-জাল এবং ভাষার দুর্বোধ্য এ্যাট্রিক (Antic) শিল্পের সাহায্যে আলোচ্য বিষয়কে কুয়াশাচ্ছন্ন করে রেখেছেন মাত্র। এ তাঁর নিজের কথা থেকেই বোঝা যায়। নিজের দার্শনিক রচনা সম্পর্কে তিনি নিজেই বলেছেন যে তিনি জামনীবাসীকে দর্শন শেখাতে চেষ্টা করেছেন যাতে তারা জামরনি-ভাষায় ভালোভাবে কথা বলতে পারে। এ-পর্যন্ত দ্রষ্টব্য এই যে দেকার্তের পূর্বসূরী অথবা তাঁর পর থেকে হেগেল অবধি কোন দার্শনেকই চেতনার (consciousness) বিশ্লেষণ করতে এগিয়ে



Leave a Comment