যাবজ্জীবন | Jabarjjiban

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
অশেষ জ্বালাতন থেকেই যেন CHA বেড়ে যাচ্ছে। ফিরে এসে ভাঙা জানালার ফাঁকে ভেতরে উঁকি দিতেই চকিতে দিশেহারা | ‘fer আবার দরজায়। কড়া ছেড়ে এবার YA ঘুসির পর ঘুসি মেরে জটিল -উন্মাদনায়- “খোকন, খোকন... লাথি। দরজায় লাথির পর লাথির ধাক্কায় আচম্বিতে উতালপাথাল নিশুতির রাত। যেন আগুনের ঘরে, সোরগোলে পাঁচজন মানুষ। দরজায় ভেঙে পড়ে রেণুবালার আকুল আর্তনাদ-_'খোকন খোকন, বাবা আমার, দরজা খোল...” অন্যদিকে গোড়ালি উঁচিয়ে, দুপায়ের দশ আঙুলের ওপর শরীরের ভর রেখে দাদার অনুসরণে বন্ধ-জানালার ফুটোয় একবার মাত্র উকি দিতে পেরেছিল কৃষ্ণা, বুঝতে পারেনি কিছুই । তবু একই ব্যাকুলতায় দরজায় ঘুসির পর ঘুসি-_'ছোড়দা, calor...’ বিদীর্ণ হচ্ছে মধ্যরাতের স্থবির কলকাতা | একতলায় দরজাগুলি খুলে গেল। পর পর বেরিয়ে পড়লেন হরিসাধন, শিবসাধন এবং তাঁদের বৌ-ছেলেমেয়েরা। দ্রুত সিঁড়ি ভেঙে সকলেই তড়তড়িয়ে উঠে আসছে ওপরে | তখন আর কড়া নেড়ে দরজা খোলার চেষ্টা নয়। লাথিতে লাথিতে অক্ষম ঘর্মাক্ত শ্যামল দরজাটা পুরোপুরি ভেঙে ফেলার উদ্যোগে মরিয়া যখন, কলকাতা চৌচির হলো। ভাঙা বাড়ির পুরনো দরজা যখন তার ভেতরের রহস্যকে আগলে রাখার কঠিন জেদে প্রাণপণ লড়ে যাচ্ছে, একতলা থেকে কয়লা ভাঙার পাথরের টাইটা তুলে নিয়ে এল প্রতাপ আর শিবাজী, খুড়তুতো ভাইরা, যার আঘাতে, হৈচৈ হট্টগোলের মধ্যে অচিরেই ফাটল ধরল নড়বড়ে কাঠের পাল্লায়। ডাকাতের মতো যখন নিজেদের ঘর ভাঙল ঘরের মালিকরাই এবং দলবদ্ধ প্রবেশে ভয়ঙ্কর সেই দৃশ্যের মুখোমুখি আপনজনেরা | বিস্ময়ে মুহূর্তের বিহুলতা ‘CHS. অ a...” দুহাত দুদিকে ছড়িয়ে, ছুটে গিয়ে ছেলের বুকে বীপিয়ে পড়লেন রেণুবালা। যখন ছেলে তার ঘুমোয়নি তখনো। কী এক গাঢ় যন্ত্রণায় দু-হাতে পেটটা আঁকড়ে ধরে গোটা শরীর নিয়ে ঠিক তখনই গড়িয়ে পড়ল মেঝেয়। নকশাকাটা রঙিন বেডশিটে জড়িয়ে গিয়েছিল দেহ, যেন বিছানার চামড়াটা টেনে ছিঁড়ে এনে নেমেছে ঢালুতে এবং টুকরো টুকরো লার্গাক্টিল- এর উজ্জ্বল রাংতাগুলি ছড়ানো ইতস্তত । শাদা রঙের কয়েকটি ট্যাবলেট শূন্যপাত্র জলের গ্লাসটা চাদরের টানে গড়িয়ে নামতে নামতে বিছানার ধার ঘেঁষে আটকে রইল সার্কাসে ট্রাপিজের কায়দায়। কান্নাকাটি সোরগোলের ভিড়ে কে যেন বলল--_'ডাক্তার শ্যামলদা, ডাক্তারবাবু... দায়িত্ববোধে একমাত্র সজীব অভিভাবক শ্যামল তার অতিব্যস্ততায়--যা তো কৃষ্ণা, তুই যা GRY | ডাঃ ঘোষ, বুড়োকে ধরে আনতেই হবে যে-করে হোক! মেয়েরা কেউ গেলেই আর্জে্সিটা বেড়ে যায়। ওঠ, 6s শিগগির..' মায়ের পাশে, ছোড়দাকে ধরে কান্নায়, HITS ঠোট চেপে ছিল কৃষ্ণা । ঝটকায় উঠে দাড়াল। ১৯



Leave a Comment