বিপন্ন সময় | Bipanna Samay

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
বিদ্বোহ করেননি বিলাসনাবুব স্ত্রী । বাসর-ঘরেব স্বাদ পেয়ে সারাজীবন শুধু বন্যার মতো সম্ভানের জন্ম দিয়ে দিয়ে নিজেকে রক্তহীন করলেন । নিজেকে নিঃশেষে বিলিয়ে দিয়ে ভাবছেন নিয়তি । এই হয়। বিধির ইচ্ছা। তবু পতিত্রতা। ৷ অশেষ লাঞ্ছনার মধ্যেও Balt BRIS) ওই সংসারে ভালোবাসার আরেক অর্থ, দাস্পত্যের আরেক সংজ্ঞা | ভাবতে-ভাবতে নিজেকে আবার অন্ধকারে আড়াল করল কল্যাণ | দরজটা বন্ধ ক'রে দিলেঃ। আলো ছ্বাললে এ অন্ধকার থাকবে না। তৃপ্তি স্পষ্ট হবে। স্বইচের দিকে হাত বাড়িয়েও কি ভেবে হাতটা সরিয়ে নিলো। প্রচুর আলোর মধ্যে ye তৃপ্তিকে দেখলে কল্যাণের মধ্যেও যেন একট বিলাসবাবু চাড়া দিয়ে ওঠে | তাকে বাধা দিতে পারে না কল্যাণ। অসহায়ের মতো লুটনো শরীরটা ওর নেশা ধরায়, ওকে মাতাল করে। কেন A, সেটাও নারীদেহ, ওর স্ত্রীর শরীর | কিন্তু তৃপ্তি অধ্যাপিক।। বাইরের জগতে অনেক ABI, অনেক মর্ধাদা। বিলাসবাবুর মতো হাতের থাবা বাড়ালেই চলবে না সেখানে । আরও ভেবে এগোতে হবে। কিন্তু কেন, অন্ধকারের মধ্যেই হাতড়ে-হাতড়ে গায়ের চাদরটা খুলে চেয়ারের পিঠে রাখল কল্যাণ। সেই একই প্রশ্ন অথব৷ একই অস্বস্তি জেগে উঠছে ভিতরে ভিতরে । একটি পুরুষ এবং একটি নারীর মিলনে এ অন্ধকারের ঘনিষ্ঠতা! আরও নিবিড় হতে আরও কত সময় লাগে, কতদিন? দেড় মাস কি খুব কম সময় ? যদি পাঁচ বছরের BMG প্রণয়ের ইতিহাস মিথ্যে না হয়। নিজের দাবিটা একবার মেটাতে পারলে এ অন্ধকারের প্রহসন ভাঙবে | হয়তো তৃপ্তির প্রত্যাশা মিটবে | মিটবেই । এটাও নিয়ম | এটাও প্রথা । এই প্রথা চিরকালের । এখানে বিদ্রোহ He । কল্যাণ শয্যার দিকে এগলো | QR



Leave a Comment