নীল আকাশে লাল ঘুড়ি | Nil Akashe Lal Ghuri

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
অঞ্জলি স্নান করে ঠাকুরঘরে ঢুকেই প্রভাত অবাক হয়ে গেল। গত পাঁচ বছরে এরকম ব্যতিক্রম তার কখনো চোখে পড়েনি। পুজোর সব আয়োজন ঠিক রয়েছে কিন্তু পুজোর ফুল কোথায়? ফুলের থালা গঙ্গাজলের ঘটির উপরে বসানো, কিন্তু থালা শূন্য। এক থালা ভর্তি লাল আর সাদা ফুল, সেই পরিচিত পবিত্র দৃশ্য আজ অনুপস্থিত। এই সময়টা তার খুব তাড়া থাকে। ৮.৫৫ ট্রেন ধরে তাকে কলকাতায় ছুটতে হবে। দশটায় অফিস। এক মিনিট এদিক-ওদিক হবার উপায় নেই। অথচ অফিস বেরোবার আগে কুল-দেবতার পুজো করতেই হবে। ঠাকুরঘর থেকে গলা বাড়িয়ে প্রভাত চিৎকার করতে লাগল--কল্যাণী, আমার পুজোর ফুল কই? কি যে করো বুঝি না। একে দেরি হয়ে যাচ্ছে! কল্যাণী আঁচলে রান্নার হাত মুছতে মুছতে দৌড়ে এল।--কী হয়েছে কী, চেঁচাচ্ছো কেন? ফুল নেই? -_থাকলে চেঁচাই, নেই বলেই তো চেঁচাচ্ছি। — CF কি, পুতুল সেই সাতসকালেই ফুল তুলতে গেল! এখন বাজে কটা? -_-কটা আর সাড়ে সাতটা হবে, রেডিওয় খবর হচ্ছে। -_সে কি গো, মেয়ে তো সেই BACT বাগানে গেল ফুল তুলতে | কোনোদিন তো এত দেরি কবে না! দাঁড়াও দেখছি কী হল! — দেখতে দেখতেই বাজিমাত! বিনা ফুলেই পুজো করি। প্রভাত খুঁত খুঁত করতে করতে পুজোর আসনে বসল। কল্যাণী তাড়াতাড়ি মেয়েকে খুঁজতে গেল। উনুনে ভাত ফুটছে। একটু পরেই প্রভাত খেতে বসবে। তার আবার সব AEs ব্যাপার। নিরামিষ ভাতে ভাত খাওয়াই তার অভ্যাস। কোনোদিন একটু fa থাকে, কোনোদিন থাকে না। খাওয়ার ব্যাপারে প্রভাতের কোনো দৃকপাত নেই। কিন্তু পুজোর আয়োজনে ২০



Leave a Comment