দুর্গেশনন্দিনী | Durgeshnandini

4] তাহার আলস্য দেখিয়া সাহসিক হইয়াছে, সেই সাহসে মান্দারণের wafers মধ্যে সসৈন্য আসিয়া দেশ লুঠ করিতেছে। রাজা উদ্বিগ্নচিত্ত হইয়া, শত্রুবল কোথায়, কি অভিপ্রায়ে আসিয়াছে, কি করিতেছে, এই সকল সংবাদ নিশ্চয় জানিবার জন্য তাঁহার একজন প্রধান সৈন্তাধ্যক্ষকে প্রেরণ করা উচিত বিবেচনা করিলেন। মানসিংহের সহিত Stata প্রিয়তম পুত্র জগৎসিংহ যুদ্ধে আসিয়াছিলেন। জগৎংসিংহ এই দুঃসাহসিক কার্য্যের ভার লইতে cates জানিয়া, রাজা! তাঁহাকেই শতেক অশ্বারোহী সেনা সমভিব্যাহারে শত্রু শিবিরোদ্দেশে প্রেরণ করিলেন । রাজকুমার কার্য্য সিদ্ধ করিয়৷ অচিবাৎ প্রত্যাবর্তন করিলেন। যংকালে কার্য্য সমাধা করিয়া শিবিরে প্রত্যাগমন করিতেছিলেন, তখন প্রান্তরমধ্যে পাঠক মহাশয়ের সহিত তাঁহার পরিচয় হইয়াছে | চতুর্থ পরিচ্ছেদ ঃ: নবীন সেনাপতি শৈলেশ্বর-মন্দির হইতে যাত্রা করিয়া জগৎসিংহ পিতৃশিবিরে উপস্থিত হইলে পর, মহাবাজ মানসিংহ পুত্রপ্রমুখাৎ অবগত হইলেন যে, প্রায় পঞ্চাশৎ সহস্র পাঠান সেনা ধরপুর গ্রামের নিকট শিবির সংস্থাপন করিয়া নিকটস্থ গ্রামসকল লুঠ করিতেছে, এবং স্থানে স্থানে দুর্গ নির্মাণ বা অধিকার করিয়। তদাশ্রয়ে এক প্রকার নির্ধিবত্নে আছে। মানদি্ংহু দেখিলেন যে. পাঠানদিগের ছুবৃত্তির আশু দমন নিতান্ত আবশ্যক হইয়াছে, কিন্তু এ কার্য্য মতি gat) কর্তব্যাকর্তব্য নিরূপণ জন্য সমভিব্যাহারী সেনাপতিগণকে একত্র করিয়৷ এই সকল বৃত্তান্ত বিবৃত করিলেন এবং কহিলেন, “দিনে দিনে গ্রাম গ্রাম, পরগণা পরগণা দিল্লীশ্বরের হস্তস্বলিত হইতেছে, এক্ষণে পাঠানদিগকে শাসিত না করিলেই নয়, কিন্তু কি প্রকারেই বা তাহাদিগের শাসন হয় ? তাহারা আমাদিগের অপেক্ষা সংখ্যায় বলবান ; তাহাতে আবার Bata আশ্রয়ে থাকিয়া যুদ্ধ করিবে; যুদ্ধে পরাজিত করিলেও তাহাদিগকে বিনষ্ট বা স্থানচ্যুত করিতে পারিব না; সহজেই ছুর্গমধ্যে নিরাপদ হুইতে পারিবে। কিন্ত ১২