পাণ্ডব গোয়েন্দা সমগ্র ২ | Pandab Goyenda Samagra 2

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
কল্যাণী বললেন, “তোমরা বোসো। আমি তোমাদের জন্য জলখাবার নিয়ে আসছি।” বলে ভেতরে চলে গেলেন। বাবুয়া তখন বাচ্ছু-বিচ্ছুর সঙ্গে জোর খেলায় মেতে উঠেছে। খেলতে খেলতে হেসে গড়িয়ে পড়ছে সে। একটু পরেই কাজের মেয়েটিকে সঙ্গে নিয়ে কল্যাণী প্রত্যেকের জন্য ফ্রায়েড রাইস, চিলি চিকেন আর নানারকমের মিষ্টি এনে টেবিলে সাজালেন। জয়স্তবাবুর সহকর্মীরা বললেন, “এ কী করেছেন বউদি! দাদার অনারে এত!” কল্যাণী বললেন, “মোটেই না। এসব পাগুব গোয়েন্দাদের অনারে। আমার বোন অলি আবার এদের দারুণ ভক্ত। এদের নিয়ে লেখা যত বই আছে সবই ও কিনেছে। ও যদি একবার দেখত এদের তো কী যে BATS তার ঠিক নেই। আমি এখনই ফোন করছি ওকে। আগে জলযোগের পর্বটা মিটুক।” বাবলুরা মুখ-হাত ধুয়ে খেতে বসল। সে কী খাওয়া! দমভর যাকে বলে। খাওয়াদাওয়ার পর অন্যরা বিদায় নিলে কল্যাণী ফোনের কাছে গেলেন। তারপর ডায়াল 'ঘোরাতে ঘোরাতেই বললেন, “আমার বোন অলির সঙ্গে তোমাদের আলাপ করিয়ে দিই এসো। ভারী মিষ্টি মেয়ে। আর ভয়ানক GE) পাহাড়ে ঘুরতে খুব ভালবাসে। আমার বাপের বাড়ি চিত্তরঞ্জনে। সেখানেও পাহাড় আছে। তা ছাড়া কাছেই দেওঘর...।” বাবলু বলল, “এক মিনিট। আপনার বালের বাড়ি কোথায় বললেন?” ‘BSAA! আমার বাবা রেলে চাকরি করতেন। এখন অবসর নিয়েছেন। আগে আমরা আমলাদহিতে থাকতাম। এখন টা র প্রাকৃতিক পরিবেশে বাড়ি করেছেন বাবা।” বাবলু বলল, “আপনার fie প্রধানকে চেনেন?! সুন্দরপাহাড়িতে থাকেন। আমার বাবার TRL” জয়স্তবাধু বললেন, “চিত্তরঞ্জন বিশাল এলাকা। তা ছাড়া ওখানে সবই তো রেলের কলোনি। কাজেই ওখানে স্থায়ী বা ee কেউ নেই। বদলির চাকরি সব। তাই কে কাকে চেনে? আমার শ্বশুরমশাই হয়তো চিনতে পারেন। কল্যাণী বললেন, “তোমরা Bement গেছ কখনও?” বাবলু বলল, “না। আজই রাতের গাড়িতে আমাদের যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকালের ওই ঝামেলার পর যাওয়ার ইচ্ছে ত্যাগ করেছি। না হলে পরশু বিশ্বকর্মা পুজোর দিন ওখানে আমরা থাকতাম।” কল্যাণী বললেন, “তবে তো ভালই হল। আমি কতদিন ধরে যাব যাব ভাবছিলাম fe যাওয়া আর হয়ে উঠছিল না। আসলে ছেলেটাকে নিয়ে একা একা যেতে সাহস হয় না। ও তো ছুটিই পায় না একদম। তা ডাই তোমরা আর না কোরো না। আজকের দিনটা বাদ দাও, কাল ভোরেই চলো বেরিয়ে পড়ি।” পাগুব গোয়েন্দারা পরস্পরের মুখের দিকে তাকাল। কল্যাণী বললেন, “তাকিয়ে দেখছ কী? না হলে কিন্তু আমার যাওয়া হয় না।” জয়ন্তবাবু বললেন, “তোমরা তো যাবেই ঠিক করেছিলে। তা হলে আর দ্বিমত কেন? তোমরা সঙ্গে থাকলে আমিও নিশ্টিষ্তে ওদের ছেড়ে দিতে পারি।” বাবলু বলল, “আমরা রাজি।” BUI, কল্যাণী দু'জনেই খুশি হলেন। ছোট্ট বাবুয়াটা কী বুঝল কে জানে, হেসে পড়িয়ে পড়ল বিচ্ছুর কোলে। জয়ন্তবাবু বললেন, “আমার তো গাড়ি আছে। কাজেই কোনও অসুবিধে নেই। কাল খুব ভোর-ভোর রওনা দিলে বেলা বারোটার মধ্যেই পৌঁছে যাবে তোমরা।” কল্যাণী বললেন, “আর-একটা কথা। ওখানে গেলে আমাদের বাড়িতেই! উঠবে কিছু! ওই সুন্দরপাহাড়ি-টাহাড়িতে নয়। আমাদের বাড়িতে লোকজনও কম। যথেষ্ট স্বাধীনতা পাবে। আমরাও সবাই মিলে একসঙ্গে ঘুরে বেড়াতে, পারব।” বাবলু বলল, “ঠিক আছে। এই কথাই রইল তা হলে?” কল্যাণী বললেন, “একেবারে পাকা Bet) তবে এক্ষুনি উঠো না যেন, একটু দীড়াও। অলিকে weeps ফোনে জানিয়ে দিই আমাদের যাওয়ার কথাটা।” বলে আবার ডায়াল ঘোরাতে লাগলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য এই, লাইন পাওয়া গেল না। কী যে হয় কে জানে? এস টি ডি ফেসিলিটি নিয়েও কোনও লাভ হয়নি।



Leave a Comment