পঞ্চাশটি ভূতের গল্প | Panchashti Bhuter Galpa

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
“তোকে আজ ঝাঁটাপেটা করে তাড়াব আমি।” রোগী এবার তেতে উঠল, “দ্যাখ আচার্ষি, মুখ সামলে কথা বলবি। আমাকে তুই যা-তা মনে করিসনি। এককালে আমি মস্ত পণ্ডিত ছিলুম। আজ কর্মদোষে প্রেতযোনি পেয়েছি তাই। যা বললি তা আর ক্রোনওদিন বলবি না।” “বেশ করব, বলব। যে সত্যিকারের পণ্ডিত হয় সে কখনও এইরকম ছাঁচড়ামো করে?” “খবরদার বলছি, আমার সঙ্গে সমীহ করে কথা বলবি।” “বেশ, TR তুই সত্যিই পণ্ডিত কি আকাট মুখ্য তার পরিচয় দে আগে। তারপর বলব।” “ঠিক আছে। আমাকে তুই পরীক্ষা কর।” আচাধি একটু সময় কী যেন ভাবলেন। তারপর বললেন, “বল দেখি হরধনু কে ভেঙেছিল?” “তোর মরা বাবা ভেঙেছিল। ওই নাম আমাকে বলতে আছে যে বলব?” “তুই ব্যাটা জানিস যে বলবি?” “জানি না তো জানি না। আমায় এবারের মতো ছেড়ে দে। আমার ঘাট হয়েছে।” “এখন কি ছাড়ব? আগে তুই স্বীকার কর যে, তুই মুখ্যু। তবে তো ছাড়ব।” “তা কেন করব 2” “তবে কেন ছাড়ব?” “ওই প্রশ্নটা বাদ দিয়ে অন্য প্রশ্ন কর তুই।” আচাধি বললেন, “বেশ, তাই করছি। বল, দশরথের বড়ছেলের নাম কী?” “বলব না। ও নাম আমাকে বলতে নেই।” “না বললে আমিও ছাড়ব না। আরও গালাগালি দেব।” “একাস্তই বলাবি তা হলে?” “হ্যাঁ | ১ “তবে শোন, সীতার পতির যে নাম, দশরথের বড়ছেলের সেই নাম।” “এরকম উত্তর তো আমি চাই না।” “আর আমাকে জ্বালাস না SST ওই নাম বললেই আমি উদ্ধার হয়ে যাব। আমি তিন সত্যি করছি, আর কখনও এর ব্রিসীমাণায় আসব ai, ata আমায় ছেড়ে দে।” “যা। দূর হয়ে যা। তবে তুই যে যাচ্ছিস তার একটা চিহ্ন দিয়ে যা।” “কী চিহ্ন চাস তুই বল?” “এই শিলটাকে মুখে করে নিয়ে যা।” “ওরে বাবা! ও আমি পারব না। আমার শরীর বড় দুর্বল। আমায় অন্য কিছু করতে বল আচার্ি।” “তবে ওই জুতোজোড়াটা নিয়ে যা।” "জুতো আমি ছুঁই না।” “বেশ। ওই পাকুড়গাছের একটা কাঁচা ডাল ভেঙে দিয়ে যা তবে।” “তা যাচ্ছি। গণ্ডি মুছে দে।” আচাধি গণ্ডি কেটে দিলেন। তারপর সকলকে বললেন, “পাকুড়গাছের ডালটা ভাঙামাত্রই তারা যেন রোগীকে ধরে ১৮



Leave a Comment