জাতক [খণ্ড-১] | Jatak [Vol. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
জাতকসমূহ্েরে উৎপত্তির কালব্চার। দেখা যায় জাতকসমূহের সঙ্ধলনকার্য্য Reet ,অন্তুতঃ ore বংসর পুর্বে নিষ্পন্ন হইয়াছিল । ইহার সঙ্গে তুলনা করিলে বৃহৎকথা, dade, কথাসরিংঠ সে দিনের গ্রন্থ মাত্র। অপিচ, অনেকগুলি জাতকের উপাখ্যানভাগ citerqa স্বয়ং কিংবা তাহার শিষ্যগণ রচনা করিয়াছিলেন, ইহা স্বীকার করিতে হইবে। অপন্জকজাতক, গ্রোধমৃগজাতক, খদিরাঙ্গারজাতক, লোশকজাতক, নঞক্ষত্রজাতক, মহাশীল- বজ্জাতক, শীলবক্লাগজাতক, তৈলপাত্রজাতক প্রভৃতি আখ্যায়িকায় বৌদ্ধতাব এতই “frase যে তাহাদিগকে বৌদ্ধেতর ব্যক্তিকর্তৃক রচিত মনে করা যায় না। তবে জাতকার্থবর্ণনার অধিকাংশ কথার কোন্‌ কোন্টা বৌদ্ধ সময়ে, কোন্‌ cary গৌতমের পূুর্বাবর্তীকালে রচিত ইহা নির্ণয় করা ছুঃসাধ্য । ইহাদের কোন কোন কথা মহাভারতে দেখা যায়; দশরথ জাতক্টী ত একখানি ছোটখাট রামায়ণ | কিন্তু এসঘ্বদ্ধে কে কাহার পূর্ববর্তী, কে Gant, ce অধমণ্ণ, ইহা বিচার করিতে গেলে সাহিত্যসেবীদিগের মধ্যে তুমুল বিবাদের সম্ভারনা । অনেকে বলিবেন, মহা- ভারতপ্রভৃতি অতি প্রাচীন গ্রন্থ এবং গৌতমবুদ্ধের পূর্কববত্তী; অতএব বুঝিতে হইবে যে বৌদ্ধেরাই এই সকল গ্রন্থ হইতে কথা অপহরণ Sam তাহাদিগকে নূতন বেশে সাজাইয়াছেন এবং নিজস্ব বলিয়া চালাইয়াছেন | কিন্তু প্রতিবাদীরা উত্তর দিবেন, "কে বলিল রামায়ণ ও মহাভারত গৌতমের পূর্বেই তাহাদের বর্তমান আকার প্রাপ্ত হইয়াছিল ? মহাভারতে যে কত সময়ে কত আখ্যায়িকা প্রক্ষিপ্ত হইয়াছে তাহা কে অস্বীকার করিতে পারে? অতএব ইহাই বা বলিব না কেন যে তদন্তর্গত জাতকসাধৃপ্তযুক্ত আখ্যায়িকাগুলিও প্রক্ষিপ্ত? যে সকল আখ্যায়িকা হিন্দু ও বৌদ্ধ- শাস্ত্রের সাধারণ সম্পত্তি, সেগুলি waa বিচার করিলেও বৌদ্ধ-আখ্যায়িকা- গুলির পুর্ঝববর্তিত! প্রতিতাত হয়। সে সমস্ত বৌদ্ধের হস্তে অমার্জিত, অসংস্কৃত ও কাব্যোৎকর্ষবর্জিত; পক্ষান্তরে রামায়ণ-মহাভারতেই বল, বা পঞ্চতন্ত্রহেতোপদেশেই বল, বর্ণনাচাতুর্য্যে, ভাবমাধুর্য্যে ও চরিত্রবিশ্লেষণে উৎকৃষ্টতর। ইহা হইতে বুঝিতে হইবে না কি যে জাতকসংগ্রহকালে বা তাহারও ACH এই সকল আখ্যানের অস্কুরোদগম হইয়াছিল? শেষে বাল্মীকিব্যাসাদির প্রতিভাবলে মনোহর পুষ্প- পল্লবের বিকাশ হইয়াছে? মানবসমাজে সর্বত্রই যখন ভ্রমোন্নতি দেখা যায়, তখন সাহিত্যেই বা তাহার ব্যতিক্রম হইবে কেন? যেমন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র GTO জন্মিয়া ও পিয়া ভূমির সসারতা সম্পাদন করিলে তাহাতে শেষে শালতালাদি মহাবৃক্ষের উদ্ভব হয়, সেইরূপ ক্ষুদ্র কবি, ক্ষুদ্র কথাকার প্রভৃতির উৎপত্তি ও বিলয়ের পরে তাহাদের সঞ্চয়সমবায়ের প্রভাবে মহাকবিদিগের আবির্ভাব ও পুষ্টিসাধন ঘটে । কেবল ভারতবর্ষে কেন, Rate প্রভৃতি প্রতীচ্য দেশের সাহিত্যেও প্রাচীন কথার say সংস্করণ ও পরিমার্জন দেখিতে পাওয়া যায়। যে নিয়মে রাম- পণ্ডিতের ও কাঠহারিনীর কথা রামায়ণে ও শতুন্তলাবৃত্তাসত্তে উৎকর্ষ লাভ ক্রিয়াছে, সেই নিয়মেই লিয়ারের ও ম্যাক্বেথের sy সেক্স্পিয়ার প্রণীত তত্তন্নামধেয় নাটকে কাব্যোৎকর্ষের পরাকাঠা প্রাপ্ত হইয়াছে। অপিচ, বৌদ্ধজাতকগুলির রচনাকালে রামায়ণ ও মহাভারত যদি বর্তমান সময়ের ole জনসমাজে স্থবিদিত থাকিত, তাহা হইলে. বৌদ্ধ উপাখ্যানকারেরা বোধ হয় মূল ঘটনার কোন বিক্বতি ঘটাইতে সাহসী হইতেন না। MAM CHA আখ্যানের HAS ঘটাইলে ০ জাতকাখ্য আখ্যায়িকা- গুলির উৎপত্তির কাল-বিচার।



Leave a Comment