For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)সত্যের মহিমায়, সাধনার tatty এই সিদ্ধ মহাপুক্ুষের সাধনার ক্ষেত্র খলঘাট'
এমন করে ছেড়ে আসতে হবে তা কি জানতাম ! উত্তরে আর দক্ষিণে হারগেজী খাল টেনে দিয়েছে গ্রামখানির সীমারেখা |
পশ্চিমে অবারিত মাঠ মিশে গেছে দিগ্যন্ত, পূর্বে অনুচ্চ করেলডেঙ্গ। পাহাড়
আকাশের দিকে চেয়ে আছে স্থির নেত্রে । চারদিকে মাঠ আর সবুজের প্রাচুর্য । একধারে নদী বয়ে চলেছে কুলুকুলু নাদে, আর একধারে পড়ে আছে ধু-ধূ
মাঠ, তার বুকের উপর দিয়ে এ'কে-বেঁকে অগ্রসর হয়েছে গ্রামের বিস্তৃত
পথখানি । ছায়াঘন গাছের ফাঁক দিয়ে দেখা যায় ছোট্ট কুটির, মধ্যবিত্তের
মাটির দোতলা কোঠা, সান-বাধানো ঘাট, গোয়াল, গোলা, পুকুর-দীঘখি-বাগান,
বাশঝাড়। যেন তুলি দিয়ে আকা। কোথাও এতটুকু আবর্জনা নেই,
কোলাহল নেই, গ্রামবাসীরা মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছে--মাঠে চাষ FACE
চাবী, জেলে পুকুরে মাছ ধরছে, রাখালেরা বটগাছের তলায় বসে বাশি
বাজাচ্ছে, কেউবা খেলছে ডাঙা গুলি, কেউবা ব্যাটবল দিয়ে খেলছে ক্রিকেট,
স্কুলের ছেলে-মেযেরা বই বগলে করে ছুটছে স্কুলে, ACTA প্রাঙ্গণে বসেছে
সভা, হাসপাতালে রোগীরা দাড়িয়ে আছে ভিড় করে, পোষ্ট আপিসে পিয়নকে
faca বসেছে গ্রামের লোক গুলো-_খোঁজ করছে চিঠির, মণি অর্ডারের, দোকান-
গুলিতে জমে উঠেছে আলাপ--রাজনৈতিক, সামাজিক, ঘরোয়া । বর্ষায় যখন
চারদিক জলে ভরে যায়, তখন ছবির মত দেখায় গ্রামযখানি। শরতে মাঠে
মাঠে যেন সবুজের সীমাহীন রেখা, গ্রীষ্মে চোখে পড়ে ফাঁকা মাঠগুলো, বসস্তে
গাছে গাছে ফুটে ওঠে নবযৌবনণ্রী | নিরুপদ্রব একটানা জীবনযাত্র| চলছে আবহমান কাল ধরে । AR আমার
গ্রামখানি। কিন্তু চিরকাল তো ছিল না তার এমন উন্নত অবস্থা । আমরা যখন
ছোট ছিলাম--তখন দেখেছি আমাদের সাম্নের Wie জঙ্গলে আছে ভরে,
রাস্তাঘাট অনুন্নত, স্কুলের গে ড়াপত্তন হচ্ছে মাত্র, ব্যাঙ্ক হাসপাতাল-এর জন্ম
তখনও হয়নি । আমাদের চোখের সম্মুখে গ্রামখানি গড়ে উঠেছে। গ্রামকে শহরের সঙ্গে প্রতিযোগিতার উপযুক্ত করে তোলার উদ্দেশ্যে PHA
নেতৃস্থানীয় লোক এলেন এগিয়ে । তাদের চেষ্টায় পল্লী সংস্কার আরম্ভ হল ।
অল্প কয়েক বছরের মধ্যে সৌন্দর্যে, শিক্ষায় দীক্ষায় সকল বিষয়ে আমাদের
গ্রামখানি হল সেরা। অভাব বলৃতে ছিল না কিছুরই । শহরের সঙ্গে 4