ছেড়ে আসা গ্রাম [খণ্ড-২] [সংস্করণ-১] | Chere Asa Gram [Vol. 2] [Ed. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
সত্যের মহিমায়, সাধনার tatty এই সিদ্ধ মহাপুক্ুষের সাধনার ক্ষেত্র খলঘাট' এমন করে ছেড়ে আসতে হবে তা কি জানতাম ! উত্তরে আর দক্ষিণে হারগেজী খাল টেনে দিয়েছে গ্রামখানির সীমারেখা | পশ্চিমে অবারিত মাঠ মিশে গেছে দিগ্যন্ত, পূর্বে অনুচ্চ করেলডেঙ্গ। পাহাড় আকাশের দিকে চেয়ে আছে স্থির নেত্রে । চারদিকে মাঠ আর সবুজের প্রাচুর্য । একধারে নদী বয়ে চলেছে কুলুকুলু নাদে, আর একধারে পড়ে আছে ধু-ধূ মাঠ, তার বুকের উপর দিয়ে এ'কে-বেঁকে অগ্রসর হয়েছে গ্রামের বিস্তৃত পথখানি । ছায়াঘন গাছের ফাঁক দিয়ে দেখা যায় ছোট্ট কুটির, মধ্যবিত্তের মাটির দোতলা কোঠা, সান-বাধানো ঘাট, গোয়াল, গোলা, পুকুর-দীঘখি-বাগান, বাশঝাড়। যেন তুলি দিয়ে আকা। কোথাও এতটুকু আবর্জনা নেই, কোলাহল নেই, গ্রামবাসীরা মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছে--মাঠে চাষ FACE চাবী, জেলে পুকুরে মাছ ধরছে, রাখালেরা বটগাছের তলায় বসে বাশি বাজাচ্ছে, কেউবা খেলছে ডাঙা গুলি, কেউবা ব্যাটবল দিয়ে খেলছে ক্রিকেট, স্কুলের ছেলে-মেযেরা বই বগলে করে ছুটছে স্কুলে, ACTA প্রাঙ্গণে বসেছে সভা, হাসপাতালে রোগীরা দাড়িয়ে আছে ভিড় করে, পোষ্ট আপিসে পিয়নকে faca বসেছে গ্রামের লোক গুলো-_খোঁজ করছে চিঠির, মণি অর্ডারের, দোকান- গুলিতে জমে উঠেছে আলাপ--রাজনৈতিক, সামাজিক, ঘরোয়া । বর্ষায় যখন চারদিক জলে ভরে যায়, তখন ছবির মত দেখায় গ্রামযখানি। শরতে মাঠে মাঠে যেন সবুজের সীমাহীন রেখা, গ্রীষ্মে চোখে পড়ে ফাঁকা মাঠগুলো, বসস্তে গাছে গাছে ফুটে ওঠে নবযৌবনণ্রী | নিরুপদ্রব একটানা জীবনযাত্র| চলছে আবহমান কাল ধরে । AR আমার গ্রামখানি। কিন্তু চিরকাল তো ছিল না তার এমন উন্নত অবস্থা । আমরা যখন ছোট ছিলাম--তখন দেখেছি আমাদের সাম্নের Wie জঙ্গলে আছে ভরে, রাস্তাঘাট অনুন্নত, স্কুলের গে ড়াপত্তন হচ্ছে মাত্র, ব্যাঙ্ক হাসপাতাল-এর জন্ম তখনও হয়নি । আমাদের চোখের সম্মুখে গ্রামখানি গড়ে উঠেছে। গ্রামকে শহরের সঙ্গে প্রতিযোগিতার উপযুক্ত করে তোলার উদ্দেশ্যে PHA নেতৃস্থানীয় লোক এলেন এগিয়ে । তাদের চেষ্টায় পল্লী সংস্কার আরম্ভ হল । অল্প কয়েক বছরের মধ্যে সৌন্দর্যে, শিক্ষায় দীক্ষায় সকল বিষয়ে আমাদের গ্রামখানি হল সেরা। অভাব বলৃতে ছিল না কিছুরই । শহরের সঙ্গে 4



Leave a Comment