শত শহীদের রক্তে | Shata Shahider Rakte

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ধারণা হলো, তাঁদেরকে যে টোটা ব্যবহারের Sy দেওয়া হয় তার ওপর মাখানো থাকে গরু ও শুকরের চবি। এরূপ ধারণা হিন্দু-মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের দিপাইদের কাছে কালম্বরূপ হয়ে দাড়াল ৷ তারা তদানীন্তন ভারত সরকারের বিরুদ্ধে নানাপ্রকারে বিক্ষোভ জানাতে লাগলেন | বিদেশী সরকারকে নানা ভাবে ব্যতিব্যস্ত করতে উদ্যত হলেন। কারণ সরকার এতে করে তাদের ধর্মে নিদারুণ ভাবে আতাত, করেছেন। ধর্মের প্রতি আঘাত কোন জাতির পক্ষেই সহনীয় নয়! তাই ভারতের বিভিন্ন স্থানে সিপাইদের বন্দুকে ব্যবহৃত গরুর চবি মাখানো টোটাকে কেন্দ্র করে বিদ্রোহাগ্নি প্রজ্রলিত হলো । সদিপাইরা সেদিন এমনভাবে উত্তেজিত হয়ে উঠেছিলেন যে তখনকার দিনে ঠিক এখনকার মত যদি কোন জাতীয়তাবাদী নেতা থাকতেন তাহলে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন অনেক আগে থাকতে দান: বেঁধে উঠতে পারতো | মুষ্ট্রমেয় সিপাইদের মনে এদেশ থেকে ফিরিঙ্গী শাসকদের বিতাড়ণকর্ম সক্রিয় হয়ে উঠলেও যোগ্য নেতৃত্বে অভাবে তা NECA বিনাশ হয়েছিল৷ Gi সত্বেও একথা বঙ্গ ঠিক wz না যে সিপাই বিদ্রোহের অগ্নি নির্বাপিত হবার পর ভারতবালীদের মন থেকে ফিরিঙ্গা শাসকদের প্রতি বিদ্বেষ চিরতরে মুছে গিয়েছিল! বরং বলা যেতে পারে তা ভদ্মাচ্ছাদিত হয়েছিল এবং যোগ্য নেতৃত্বের শুভ আবির্ভাবের জন্যে BAH করছিল | পরে ভারতভাগ্য বিধাতার অলজ্ছা এবং অলঙ্ষ্য নির্দেশে যোগ্য নেতৃবৃন্দের আবির্ভাব হয়েছেল এই পরাধীন ভারতবর্ষে । তারা স্বদেশজননীর মুক্তির জন্যে আন্দোলন চালিয়ে- ছিলেন :যার পরিণামে আমরা লাভ করেছি স্বাধীনতা ৷ যাক সে পরের কথা । এখন মঙ্গল পাড়ের প্রসঙ্গে আবার ফিরে আদা যাক ! ব্যারাকপুরের সিপাইদের মনে অসম্তোষ ধুমায়িত হয়ে উঠলো | যথন ব্যারাকপুরের সিপাইদের উত্তেজনার কথা কলকাতায় পৌছয় তখন গভর্ণর জেনারেল লর্ড ক্যানিং ভয়ঙ্কর বিপদের আভাস স্পষ্টরূপে বুঝতে পারলেন। ভারতবর্ষের আকাশতলে ক্ষুদ্র মেঘখণ্ডের ৪



Leave a Comment