যোগীবর বরদাচরণ | Jogibar Baradacharan

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
কোথায় হারাইয়া তলাইয়া অবপুপ্ত Veal গেল৷ ক্রমে শ্বেত আকাশ জ্যোতির্ময় হইতে লাগিল এবং প্রায়ই যেন একইভাবে SAM AM যাইতে লাগিল 1 বিচিত্র এক নিদ্রার মত বোধ হইত । কিছুদিনের মধ্যেই এইরূপ অবস্থা প্রাত্যহিক seni উঠিল । জো্যোতির্ময় আকাশ দেখি আর মন সাময়িকভাবে হারাইয়া যায়। অজান৷ আনন্দে হৃদয় মন প্রাণ ভরিয়া উঠে ।” ( দ্বাঃবাণী- পৃঃ ১৩০ ) সাধারণ সংসারী মানুষের মতই তিনি জীবন পথের বাঁকে বাঁকে এগিয়ে গেছেন । সাধারণ মানুষ তার বাইরের কার্যকলাপই শুধু দেখেছে। তারই বিচার করেছে। গুণগ্রাহী তার প্রশংসা করেছে, দোষগ্রাহী নিন্দায় পঞ্চমুখ হয়েছে। কিন্তু যবনিকার অন্তরালে যে অদৃশ্য শক্তি নীরবে কাজ করে গেছে তার খোঁজ কেউ রাখে নি | হয়তো বৰা অনধিকারী বলেই রাখে নি। মাটির তলায় যে নিভৃত লোক, সেখানেই অরূপ অপরূপের আনন্দ satin নিত্য প্রবাহমান। গাছের শিকড় সেই অদেখা স্তর থেকেই রস টেনে নিয়ে আকাশের তলায় থরে থরে সাজিয়ে দেয় কত বিচিত্র রঙের রাশি রাশি ফুল । তেমনি ছচ্ছেয় লোকের আনন্দ-ফস্তধারাও সাধকের দেহমন এক অনির্বচনীয় আনন্দ রসে অভিষিক্ত ক'রে তোলে ৷ বাইরের দর্শক দেখে পুষ্পপল্লবের অরূপ শোভা। অন্তরের আনন্দ ফত্তপ্রবাহ সাধকের চিত্ত তলে যে নিভৃত অমৃতলেক Foal ক'রে রাখে, মাধারণের চোখে তা তো ধর পড়ার কথা নয়।



Leave a Comment