রবীন্দ্রনাথ ও সুভাষচন্দ্র | Rabindranath O Subhas Chandra

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
অসহযোগ আন্দোলনের লক্ষ্য এরূপ একটা ধারণ। হওয়ায় কবি “শিক্ষার মিলন” শিরোনামায় কলকাতায় একটি তেজোদ্দীপু ভাষণ দিলেন এবং পৃথিবীর অন্যান্য অংশের সংস্কৃতি ও HST হইতে ভারতকে বিচ্ছিন্ন করার যে কোনও Creare স্পষ্ক ভাষায় নিন্দ৷ করিয়৷ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বর্জনের বিরোধিতা করিলেন | এই আক্রমণকে মুখ বুজিয়৷ কংগ্রেসী মহল মানিয়৷ লইতে পারিলেন না কিন্তু কবির সমযোগ্যতাসম্প্্ন এমন একজন বিদগ্ধ ব্যক্তিকে খু জিয়৷ পাওয়া সম্ভব হিল না, যিনি তাহার আক্রমণের জবাব দিতে পারেন ৷ যাহ হউক, বাংলার প্রধান গুপন্যাসিক শরংচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় “শিক্ষার বিরোধ” সম্বন্ধে এক ভাষণে ইহার জবাব দিতে সাহসী হইলেন | তাহার ভাষণের মূল কথা৷ ছিল এই যে, যদিও সংস্কৃতির aad বিশ্বজনীন ডিতি আছে তবু প্রত্যেক দেশের নিজস্ব বিশেষ একটি সংস্কৃতি রহিয়াছে, যাহ। তাহার জাতীয় প্রতিভার সৃষ্টি । ভারতকে তাহার নিজস্থ সংস্কৃতি we ও উহার বিকাশসাধন করিতে হইবে, এবং তাহ। করিতে গিয়। যদি at প্রভাবযুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সকল বর্জন করিতে হয়, তাহাতে আপত্তির কিছু নাই । কবির আক্রমণকে বরণ করিয়৷ লওয়৷ মহাত্মার পক্ষে কোনমতেই সম্ভব ছিল a ; বিশেষত? এই কারণে যে, দক্ষিণ আফ্রিক। হইতে তাহার ভাঁরতে প্রত্যাবর্তনের পর হইতেই তাহাদের মধ্যে বিশেষ বন্ধুত্ব গড়িয়া উঠিয়াছিল ৷ কবিকে শান্ত করিবার জন্য মহাত্মাকে সেজন্য কয়েকবার তাহার নিকট যাইতে হইল ৷ কিছুকাল কাটিবার পর কবি বাধাদান হইতে একেবারে fare হইলেন । এবং মহাত্মার পরবর্তী আন্দোলনগুলিতে তাহার বিশ্বস্ততম সমর্থকদিগের একজন হইয়া উঠ্িয়াছিলেন 1” [ ভারতে মুক্তির সংগ্রাম, পৃঃ ৬০-৬১ | TA বাহুল্য, অসহযোগ আন্দোলন এবং বিশেষতঃ গান্ধীজী সম্পর্কে কবির ধারণ! ও বক্তব্য সুভাষচন্দ্র সঠিক উপলক্ধি করতে পারেন fas অসহযোগ অন্দোলনকালে কবির eas মানসিক অনস্ত'দ্বন্দব চলেছিল সত্য কথা, কিন্তু তার অর্থ এই নয়, তিনি দেশের স্বাধীনত! সংগ্রামকে অস্বীকার কিংবা তার বিরোধিতা করেছিলেন । পরস্ত গান্ধীজীর নেতৃত্বে এই আন্দোলন ৬



Leave a Comment