তেলুগু গল্পসংগ্রহ | Telugu Galposangraha

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
পালগুন্মি পদ্পরাজু এঁর লেখা 'গালিভান' (তুফান) নিউইয়র্ক হেরান্ড ট্রিবিউন পত্রিকার গল্প প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার পায়। তিনি তেলুগু-গল্পকে বিশ্বের দরবারে পৌছে দেন। নাট্যকার ও ছায়াছবির গল্পকার হিসেবে খ্যাতিমান। তাঁর লেখায় Ete জীবনের নিখুঁত প্রতিচ্ছবি ফুটে OTS | তাঁর গল্পের রচনাশৈলী আর মানবমনের বিশ্লেষণ পাঠকমনকে অভিভূত করে। CHCA সূর্য অস্ত গেছে। চারিদিকে যেন একটা বিষণ্জতা ছড়িয়ে পড়েছে। নদীর বুকে নৌক্োটা ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে৷ নৌকোর গায়ে ধাক্কা খেয়ে কলকল রবে বয়ে যায় জল। চারিদিক নিঝুম, ea! ঝুমঝুম একটানা শব্দ, দেহমনকে যেন আচ্ছন্ন করে ফেলে, মনে একটা শিহরণ জাগায়। জীবনের অন্তিম সময়ের একটা নৈরাশ্যের ছায়া যেন ফুটে ওঠে। দুরের গাছগুলো এগিয়ে আসে, সামনের গাছগুলো এলোচুল পেতনীর মত পেছনে সরে যেতে থাকে! নৌকোৌটা নিশ্চল, নদীর পাড়ই যেন এগিয়ে চলেছে। নদীর জলের ভেতর দিয়ে অন্ধকারের বুক চিরে দৃষ্টি মেলে ধরি। অসহায় আকাশের তারা ঢেউয়ের দোলায় দুলতে দুলতে চোখ খুলেই যেন ঘুমিয়ে পড়েছে। এতটুকু হাওয়া নেই। ANG টানার সঙ্গে সঙ্গে পালের দড়ি কখনও টিলে হয়ে যায়, কখনও বা দড়িতে টান পড়ে। নৌকোর পেছন দিকে আঙ্গেঠিতে আগুন জ্বলছে। থেকে থেকে আগুনটা বাড়ে আবার কমে। নৌকোয় খানিকটা জলও ঢুকে পড়েছে। বালতি করে একটা ছেলে তা বাইরে ফেলে দিতে থাকে। নৌকোটায় রয়েছে ধান, OU, নূন আর তেঁতুলের কয়েকটা বস্তা। আমি শুয়ে আছি ছাদে। ভেতর থেকে চুরুটের গন্ধ ভেসে আসে। কয়েকজনের গলার আওয়াজও পাচ্ছি! মুন্সী যে ঘরটায় বসে আছে সেখানে ছোট একট প্রদীপ টিম্‌টিম্‌ করে জ্বলছে। নৌকো এগিয়ে চলে। কে যেন ডাক দেয়, 'ওহে মাঝিভায়া, নৌকোটা এদিকে ভেড়াও না একবার ।” পাড়ে লাগতেই দুজন লোক নৌকোয় উঠে পড়ল। নৌকোটা একটু ঝুঁকে পড়ে। “আরে ভাববার কিছু নেই, আমরা ছাদে TAT একটি মেয়ের গলার স্বর শোনা গেল। 'এতদিন কোথায় ছিলি? একেবারে যে পাত্তা নেই।' পালের ওধারে-বসা লোকটা প্রশ্ন করে। *'সোয়ামীর সঙ্গে বিজয়নগর, বিশাখাপত্তনম ঘুরে এলাম। অপপন্নার টিলাতেও গেছিলাম। 'এখন কোথায় চল্লি?”



Leave a Comment