আপন ঘরে | Apan Ghare

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
PH এইসব বাড়ি তৈরি করে দিয়েছে। সুদীপার টেবিল থেকে কয়েক ফুট দূরে ডান পাশের দেওয়াল ঘেঁষে কাচের বুক-কেসে আর্কিটিকচার, কোম্পানি ল এবং ইনকাম-ট্যাক্স সংক্রান্ত নানা রেফারেন্সের বই সাজানো রয়েছে। আর বাঁ দিকের দেওয়াল ঘেঁষে স্টিলের সুদৃশ্য ছোট একটা চেয়ার এবং টেবিল। এ জায়গাটা সুদীপার সেক্রেটারি-কাম-পার্সোনাল আযসিস্ট্যান্ট লিজার জন্য নির্দিষ্ট। পুরো নাম এলিজাবেথ স্যাপ্তার্স। ওরা আ্যাংলো-ইণ্ডিয়ান। ঘরে ঢুকেই সুদীপা দেখতে পেল, এর মধ্যে লিজা এসে গেছে। তারও ডিউটি আওয়ার্স সাড়ে AT থেকে, কিন্তু সুদীপা আগে আসে বলে সে-ও TOA ভেতরেই চলে আসে। অবশ্য অফিসে ঢুকবার মুখে যে মধ্যবয়সী বে্য়ারাটার সঙ্গে দেখা হল, সে-ও লিজার মতোই রোজ অফিস শুরুর আগে এসে পড়ে। ফাঁকা অফিসে সুদীপার যাতে কোনো রকম অসুবিধা না হয় সেদিকে ওদের তীক্ষু নজর। সুদীপাকে দেখে লিজা উঠে দাঁড়াল। স্নিগ্ধ গলায় বলল, “গুড মর্নিং ম্যাডাম।' লিজার বয়স চবিবিশ-পঁচিশ। মাথার চুল-লালচে, চোখ কটা। তবে গায়ের রঙ বাদামী বা সাদাটে নয়। বলা যায় বাঙালীসুলভ, অর্থাৎ কিনা শ্যামাভ। চোখ আর চুলের কথা ভুলতে পারলে স্বচ্ছন্দে তাকে বাঙালী মেয়ে বলে চালানো যায়। দুর্দান্ত ফিগার তার, গায়ে এক ফৌটা বাজে ফ্যাট নেই। লম্বাটে মুখে বুদ্ধি এবং স্মার্টনেসের ছাপ। লিজার পরনে প্রিন্টেড ভয়েল শাড়ি; শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে ব্লাউজ। আ্যাংলো-ইণ্ডিয়ান মেয়েদের মতো স্মার্ট বা গাউন পরে না OT! গলায় সরু সোনার হার, নৌকোর আকারে মীনে করা লকেটটা বুকের মাঝখানে ঝুলছে। কপালে কুমকুমের টিপ। পায়ে Gy হীলের জুতো। ‘ew মর্নিং --বলে রিভলভিং চেয়ারে গিয়ে বসে পড়ল সুদীপা। বিরাট হাগুব্যাগটা টেবিলে রাখতে রাখতে লক্ষ্য করল বেয়ারা বা লিফ্টম্যানের মতো লিজা অবাক হয়ে তাকে লক্ষ্য করছে। লাজুক একটু হেসে ফের বলল, Be শাড়ি পরতে ইচছা হল, তাই--'কথাগুলো নিজের কানে খানিকটা কৈফিয়তের মতোই শোনাল যেন। লিজা উত্তর দিল না, তাকিয়েই রইল। এবার পরিষ্কার বাঙলায় সুদীপা জিজ্ঞেস করল, ‘COMMA মা আজ কেমন আছেন? বাঙলা ভাষাটা ভালো বুঝতে পারে লিজা, বলতেও পারে চমৎকার। সেইজন্যই বাঙলাতে কথা বলে। ১৮



Leave a Comment