চন্দ্রশেখর [সংস্করণ-৪] | Chandrasekhar [Ed. 4]

(10৮০ )° ক্ষেপে বলিতে গেলে সমাজশক্তির সঙ্গে ব্যক্তিমানসের সংঘর্ষ এই উপন্যাসের মধ্যে রূপ পাইয়াহে । সমাজশক্তির বিরুদ্ধে একটা বিদ্রোহের আভাসও শৈবলিনী- চরিত্রে আছে । এই দিক fem শৈবলিনী-চরিত্র খুবই আধুনিক । বন্ধিমচন্দ্র এই বিদ্রোহ দেখাইয়াছেন, নির্যাতিত ব্যক্তিমানসের প্রতি সহাহভূতিও দেখাইয়াছেন, কিন্তু এই বিদ্রোহের মধ্যে তিনি কোনও মহস্তর কল্যাণ খু" জিয়া পান নাই। এইজঙ্যই শৈবলিনীর প্রায়শ্চিত্তের প্রয়োজন। শৈবলিনী মরিল, এই কথা বলিয়া প্রতাপকে ছাড়িয়া শৈবলিনী পলায়ন করিল । তাহার প্রায়শ্চিত্ত আরস্ত হইল | প্রতাপের নিকট শেষ বারের মত প্রত্যাখ্যাত হইয়া, প্রতাপের মহাহভবতার পরিচয় পাইয়া, শৈবলিনীর জীবন নদীতে যে প্রথম বিপরীত তরঙ্গ উঠিল-_ইহাই তাহার মনে প্রথম প্রতিক্ররিয়া। এত বড় একটা মানসিক পরিবর্তন, শৈবলিনীর একটা নূতন জন্মলাভ, যাহার ফলে প্রতটুপের প্রতি অন্গুরাগের মূল The তাহার মন হইতে উৎপাটিত হইল, তাহার স্তর-পরম্পরা অর্থাৎ কিভাবে তাহার মন ধীরে ধীরে প্রস্তুত হইয়া উঠিতেছে তাহার বিবরণ বস্কিমচন্দ্র দেন নাই। জড় প্রক্বৃতি কিভাবে শারীরিক দুঃংখ-্যাতনার মধ্য দরিয়া তাহার প্রায়শ্চিত্তের xl করিয়৷ দিতেছে, তাহার Cae চিস্তাধারা কিভাবে তাহার অন্তর্দাহকে ager শিখায আালাইয়া| তুলিতেছে, স্বামীর চিন্তা কিভাবে তাহার চিত্তে শাস্তি আনিয়া দিতেছে, উপবাসে ও ক্বচ্ছুসাধনে দেহচেতনাকে প্রায় লুপ্ত shan দিয়া, বিক্ষিপ্ত চিত্তকে একই লক্ষ্যে অভিমুখী sian কিভাবে শৈবলিনীর মনের সংস্কার পর্য্যস্ত পরিবর্তিত হইল, তাহা বিশ্মিত বিমূঢ় হইয়া আমরা পাঠ করি। প্রতাপের প্রতি অঙ্গরাগ ভুলিতে গেলে, নিজের মনের গতি অষ্ঠ খাতে বহাইতে গেলে এ প্রচণ্ড অস্তর্দাহ, এই HTB নরক দর্শন একাস্তই প্রয়োজন । এই আয়োজন না কর্বিলে এত অল্প সমযের মধ্যে প্রতাপের মত প্রণয়ীর প্রতি অহুরাগ ভুলিতে পারা যায় না। প্রায়শ্চিত্তের পরে 'শৈবলিনীর মানসিক বিক্বতির চিত্র অত্যন্ত স্বাভাবিক | চন্দ্রশেখর উপন্যাসের বিরূপ সমালোচনার বক্তব্য চন্দ্রশেখর উপন্যাসের পরিণতি সর্ব্বাস্তংকরণে Peres বলিয়া মানিয়া লওয়ার একটা দ্বিধা এবং গ্রন্বকারের উগ্রনীতিবোধের সমালোচন। অনেকেই আজকাল Fh থাকেন । এই far সমালোচনার প্রকৃতিটি ডক্টর অরবিশ্ব পোদ্জারের বদ্কিম-মানস acy উপস্তাসটির আলোচনা প্রসঙ্গে চমৎকারভাবে প্রকাশিত হইয়াছে। “রাজনৈতিক