বাবর নামায় ভারত কথা | Babar Namay Bharat Katha

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
পাহাড়ের উপর ফিরোজ সার প্রাপাদ ছিল--নাম 'জাহান-নামা'। এখান থেকে দিল্লীর কাছ TTS দেখা যায় এখানে ওখানে ছড়ানো বিক্ষিপ্ত নীচু নীচু পাহাড়। মিওয়াৎ ছাড়িয়ে এই পাহাড় শ্রেণী বিয়ানা প্রদেশে প্রবেশ করেছে | শিক্রি, বারি, ছলপুর পাহাড়গুলি এই clas অস্তর্গলত। গোষয়ালিররের পাহাড়গুলি যদিও এই শ্রেনীর অস্ততুক্ত মনে কর] হয় না তবে বাস্তবিক পক্ষে ওগুপি এ শ্রেণীরই প্রশাখা। এই রকম প্রশাখা হচ্ছে রস্তম্ভার, চিতোর, চান্দেরি এবং মাঙুর পাহাড়গুলি। কোনও কোনও জায়গায় মূল শাখা থেকে এগুলি সাত আট ক্রোশ তফাৎ। পাহাড়গুলি খুবই নীচু, কর্কশ, পাথুরে এবং জঙ্গলে Sie) এখানে কখনই তুষারপাত হয় না। হিন্দুস্থানের অনেক নদীর জনক এই পাহাড়গুলি | সেচের ব্যবদ্থা- হিন্দুস্বানের বেশীর ভাগ অংশই সমতল oft যদিও এখানে অনেক জনপদ এবং কৃষিক্ষেত্র আছে-- কিন্তু সেচের জন্য কোনও খাল নাই। নদী এবং কোনও কোনও জায়গায় বন্ধ জলাশয়ের ওপর সেচ ব্যবস্থা নির্ভরশীল । এমন অনেক ART আছে যেখানে খাল কেটে জল আন! যায় অনায়াসে, কিন্তু সে রকম কোনও ব্যবস্থা করা হয় না। এইভাবে সেচ ব্যবস্থা না করার হয়তো অনেক অর্থ আছে--একটা বোধ হয় এই CHD চাষ অথবা Cay রচনার জন্য এখানে CALA জলের প্রয়োজন হয় না। হেমন্তকালীন শত্ত বৃষ্টির জলেই জন্মে । আর একট! অদ্ভূত ব্যাপার এই যে বসন্তকালীন wy বৃষ্টির জল না পেলেও হয়ে থাকে । ছোট ছোট চার] গাছে বালতিতে কিংবা চরকি কলে জল দেওয়। হয়। দুই তিন বছর চারা গাছগুলিতে প্রতিদিনই জল দিতে হয়--তারপর অবশ্য আর প্রয়োজন হয় না। কতকগুলি সবজি গাছে অনবরত জল সিঞ্চন দরকার | লাহোর, দিবলপুর এবং কাছাকাছি জয়গায় কৃষকরা চাকার সাহায্যে ক্ষেতে জল দেয়। তারা দড়ি দিয়ে ছুইটি বৃত্ত তৈয়ারী করে কূপের গভীরতার মাপে | এই বৃত্ত দুইটির মাঝখানে কাঠ খণ্ড ফেলে তার ওপর জল তোলার কলসী শক্ত করে বাধে। কুয়োর চাকার ওপর দড়িগুলো সমেত sary বাধা কাঠ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এই চাকার অক্ষের একদিকে দ্বিতীয় একটি চাক! বমানো থাকে । আগর তারই কাছাকাছি আর একটি চাকা থাকে যার অক্ষ উপরের দিকে খাড়া। এই শের চাকাট বলদের গলার দড়ির সংলগ্ন । বলদ দড়িতে টান দিলে শেষোক্ত চাকাটির দাতগুলো দ্বিতীয় চাকার মঙ্গে আটকে যায়৷ ৭



Leave a Comment