বিজ্ঞান ও ধর্ম [সংস্করণ-১] | Bigyan O Dharma [Ed. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
৮ বিজ্ঞান ও ধর্ম তখনই যেন তাদের ঘরে একটি করে বোমা পড়ছে। আর সেইজন্যে তারা সব যুগেই এই সব বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান বন্ধ করে দেবার চেষ্টা BAC ধর্ম যখনই যুক্তিবিচারের সাহায্যকে প্রত্যাখ্যান করেছে, তখনই ধর্ম নিজেকে করেছে দুর্বল। এই বিষয়টি উত্থাপন করে ইংল্যাণ্ডে ১৮৯৬ সালে স্বামী বিবেকানন্দ তার অবিস্মরণীয় ao যুক্তি ও ধর্ম'র মধ্যে বললেন 3 (তদেব, পৃঃ ১৩২) “ভিত্তিগুলি শিথিল হয়ে creat আধুনিক মানুষ প্রকাশ্যে যাই বলুক না কেন, অন্তরের গোপন প্রদেশে এ-বোধ জাগ্রত যে, সে আর “বিশ্বাস” করতে পারে না। আধুনিক যুগের মানুষ জানে যে, পুরোহিত- . সম্প্রদায় তাকে বিশ্বাস করতে বলছে বলেই, কোন শাস্ত্রে লেখা আছে বলেই, কিংবা তার স্বজনেরা চাইছে বলেই. কিছু বিশ্বাস করা তার পক্ষে অসম্ভব। অবশ্য এমন কিছু লোক আছে, যাদের তথাকথিত জনপ্রিয় বিশ্বাসে সম্মত বলে মনে হয়, কিন্তু এ-কথাও আমরা নিশ্চয় জানি যে, তারা বিষয়টি সম্বন্ধে চিন্তা করে না। তাদের বিশ্বাসের ভাবটিকে “চিন্তাহীন অনবধানতা” আখ্যা দেওয়া GT! যুক্তির প্রয়োগকে সমর্থন করতে গিয়ে তিনি বললেন ঃ (তদেব, পৃঃ ১৩২) অন্যান্য বিজ্ঞানগুলির প্রত্যেকটিই যুক্তির যেসব আবিষ্কারের সহায়তায় নিজেদের সমর্থন করছে, ধর্মকেও কি আত্ম-সমর্থনের জন্যে সেগুলির সাহায্য নিতে হবে! বহির্জগতে বিজ্ঞান ও জ্ঞানের ক্ষেত্রে তথ্য অনুসন্ধানের যে পদ্ধতিগুলি নেওয়া হয়, ধর্মবিজ্ঞানের ক্ষেত্রেও কি সেই একই পদ্ধতি অবলম্বিত হবে? আমার মতে, তাই হওয়া উচিত। আমি এ-ও মনে করি, যত তাড়াতাড়ি তা হয়, ততই মঙ্গল। এরকম অনুসন্ধানের ফলে কোন ধর্ম যদি বিনষ্ট হয়ে যায়, তাহলে বুঝতে হবে-_সেই ধর্ম বরাবরই



Leave a Comment