ভগবদ্গীতা ও বিশ্বজনীন বার্তা [খণ্ড-২] | Bhagavadgita O Bishwajanin Barta [Vol. 2]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১২ ভগবদ্‌গীতা ও বিশ্বজনীন বার্তা একজন অসাধারণ মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে ক্ষুদ্র জ্ঞান করছে না; কারণ তার মধ্যেও তো HR TAG আছে। এই আধুনিক যুগে, আমাদের দেশে এই ধরনের মানবীয় বিকাশ সম্ভব করে তুলতে হবে এবং সেটি সম্ভব করে তোলার জন্য যে দর্শন আমাদের সাহায্য করতে পারে, তা কর্মজীবনে বেদাস্ত বা প্রায়োগিক অদ্বৈতবাদ রূপে এই গীতার শিক্ষায় বর্তমান | বিবেকানন্দ বলেছেন, ব্যবহারিক বেদাস্তের জন্য কোন নতুন গ্রদ্থের প্রয়োজন নেই, কারণ তার সর্বোৎকৃষ্ট বিন্যাস রয়েছে গীতায় এবং শ্রীকৃষ্ণের উত্তরের মধ্যেও আপনি পাচ্ছেন ঃ OEM কমগিল্্যাসাৎ কমর্যোগো বিশিষাতে, “কমর্যোগ BHATT চেয়ে GAN’ | আপনি হয়ত সুখে শাস্তিতে আছেন। আপনার হয়ত কোনই ঝঞ্জাট নেই। কিন্তু তার মানে কি এই যে, চারপাশের দুঃস্থ মানুষকে সাহায্য করবার কোন দায়িত্ব আপনার নেই? কেন, আপনার কি হৃদয় নেই? অপরের দুঃখ- বেদনা অনুভব করার মতো ক্ষমতা নেই? হৃদয়ই যদি শুষ্ক হয়, তবে মনুয্য- জীবন এবং ধর্মের প্রয়োজন কী? দুর্ভাগ্যের বিষয়, আমাদের দেশের মানুষদের হৃদয় যেন শুকিয়ে গেছে! প্রখর বুদ্ধি, অথচ শুষ্ক হৃদয়! JS শতাব্দী আমাদের হৃদয় কোন কাজই করেনি। সাধারণত, আমরা ভাবি আর কারো না থাক, TSS নারীদের হৃদয় নামক বস্তুটি আছে। কিন্তু তারাও নিজের নিজের সম্ভানের প্রতি আসক্তির গণ্ডিতে এমনভাবে আবদ্ধ, যে তাদের হৃদয় সেই সীমানা পেরিয়ে অন্য কারোর দিকে প্রসারিত হয় না। আমাদের দেশে এটিই হয়েছে। এই জন্য স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন যে, শঙ্করাচার্যের মস্তিষ্কের সঙ্গে বুদ্ধের হৃদয় AMIS কর, তবে তুমি নিজেই একজন মহৎ ব্যক্তি হয়ে যাবে। আধুনিক যুগে আমাদের এটাই কর্তব্য। আমাদের বুদ্ধি ala, কিন্তু হৃদয় 'অত্যস্ত সংকীর্ণ। না হলে বধূদাহ এবং অনান্য পাপকর্ম আমাদের দেশে হয় কেন? কারণ একটাই-_ হৃদয়ের একান্ত অভাব। বুদ্ধি আছে। কিন্তু হৃদয় মৃতপ্রায়। আমাদের দেশের মানুষের এই হচ্ছে পরিস্থিতি। এইজন্যই বেদাস্তের শিক্ষাটিকে কাজে পরিণত করার এত প্রয়োজন। এই শিক্ষার আলোকে আমাদের চরিত্রগঠন করতে হবে ও এক নতুন ধরনের মানবসমাজ গড়ে তুলতে হবে। শ্রীকৃষ্ণ বললেন যে, সন্ন্যাসের মাধ্যমে কর্মত্যাগ ও কর্মযোগের ভাবে কর্মানুষ্ঠান, উভয়ের মধ্যে দ্বিতীয়টি আরো ভালো, আরো উৎকৃষ্ট। পরের শ্লোকে তিনি আরো এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে বলছেন ঃ



Leave a Comment