অক্ষয়কুমার বড়ালের - শ্রেষ্ঠ কবিতা | Akshaykumar Baraler - Shreshtha Kabita

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১২ মানুষের মধ্যে বিচ্ছেদ হিসেবে ভাবেন নি, বরং জীবন ও সংসারের বিরাট প্রেক্ষাপটে ফেলে দেখেছেন। “এযা”'র দ্বিতীয় সংস্করণের জন্যে লেখা চমৎকার একটি ভুমিকায় বিপিনচন্দ্র পাল লক্ষ করেছিলেন, কিভাবে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের ব্যাহত মধুর রস ছড়িয়ে গিয়েছে বাৎসল্যে। “aaa তিনি পেয়েছিলেন একটা সামগ্রিক কারুণ্যের ছবি, যা তিনি পাননি টেনিসনের “ইন মেমোরিয়ম”-এ, কালিদাসের 'রতিবিলাপ”- এ, বেহুলার গানে অথবা রবীন্দ্রনাথের “স্মরণ”-এ। শুধু নিজের শোকদপ্ধ অন্তরের ছবিই নয়, সমস্ত পরিবার-পরিজনের মর্মবেদনাও মিশেছে এই করুণ ACA মৃত্যু ৬, শিশু আজ ARN’) এর ফলেই “এষা”য় শোকের একটা উদ্বর্তন ঘটেছে। আরো একটা জিনিস বিপিন পালের চোখ aura নি। অক্ষয় বড়াল জীবনমৃত্যুর শুভ-অশুভের সমস্যাকে তন্নতন্ন করে নেড়েচেড়ে দেখেছেন ব্যক্তিগত অনুভূতিকে অবলম্বন করেই, কোন Soria বা প্রচলিত ধর্মীয় ব্যাখ্যা দিয়ে শোককে অতিক্রম করার চেষ্টা করেন নি। আক্রোশ, অবিশ্বাস, শ্লেষ ও প্রশ্নের মধ্যে দিয়ে অশ্বেষণ করেছেন নিজের প্রত্যয়ের ভূমি। কখনো মৃত্যু এসে টলিয়ে দেয় শুভবোধ : এই কি এ জগতের শুভ বিবর্তন? এই হাড়ে হাড়ে শোক দেখাবে কি পুণ্যালোক? ভূমিকম্প-ঘূর্ণ্যবাত্যা কি করে সাধন? তবু প্রাণকে জড়জগতে WIS সংযোজন বলে মানতে চায় না মন : প্রীতি, স্মৃতি, ভাবনা, কল্পনা, সকলি কি ক্ষণিক ছলনা-_ অলীক স্বপন? এ-চেতনা হয়তো নতুন কিছু নয়। কিন্তু মৃত্যুই শেষ হতে পারে না এই বিশ্বাস তাকে আরো গভীর সংকটের মুখে এনেছে। ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে কবির মানবিকতাবাদের যে সংঘাত ঘটেছে তা বিশ্বাস ও অস্তিত্বের মূল ধরে টান দিয়েছে, ফলে এক অসম্ভব আর্তি উঠতে দেখি কবিতা থেকে, দেবলোকে দেবত্ব লভিয়া সে কি গেছে দেবত্বে ডুবিয়া? সে নাই “সে' আর? জ্যোতির মন্ডলে বসি-_বসি, সে কি আর উঠে না নিঃশ্বসি, স্মরি গৃহ তার? শেষ পর্যন্ত অক্ষয় বড়াল ঠিক ধর্মীয় না হলেও জীবন-মৃত্যুর একটা অধ্যাত্ম ব্যাখ্যাতেই সুস্থিত হয়েছেন। শোক-দুঃখ-মৃত্যু মানুষের উত্তরণেরই স্তর, নারী-প্রেম ভগবৎ- প্রেমেরই প্রতিবিশ্ব : সে ছিল তোমারি ছায়া-- তোমারি প্রেমের মায়া। তার স্মৃতি আনে আজ তোমারি আস্থাদ।



Leave a Comment