রবীন্দ্র-সাহিত্যের পরিচয় [সংস্করণ-২] | Rabindra-sahityer Parichay [Ed. 2]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
৮ রবীন্ত্র-সাহিত্যের পরিচয় মানুষ নিজেকে প্রকাশ করে, এবং এই প্রকাশ-তত্তব সাহিত্যের প্রধান উপাদান। সাহিত্যে waa ও অসুন্দর বড় জিনিষ নয়। এই প্রকাশের নিবিড়তা ও oat হইল সাহিত্যের মাপকাঠি। তাই সাহিত্য হইল মানুষের ভিতরের একটা তাগিদ। এই প্রকাশ-চেষ্টা ছুই জাতের হইতে পাঁরে--তথ্য- প্রধান ও সত্য-প্রধান। মানুষ নিজের প্রয়োজনকে মানে, মাহুষ খ্রয়োজনের অতীত আনন্দকে মানে । রস-সাহিত্যে এই বিশুদ্ধ আনন্দরূপকে ব্যক্ত করে। এই প্রকাশ-চেষ্টার প্রকাশ-পদ্ধতি অবহেলার বস্তু নয়। আদর্শ, বিষয় ও পদ্ধতি এই ব্রিধারার বিচার সাহিত্য-আলোচনার অপেক্ষ৷ রাথে। দেহের পিপাসা ব্যতীত, প্রয়োজনের তাগিদ ব্যতীত, অন্য পিপাসা! ও তাগিদ আছে। সেই কারণেই, রস-সাহিত্য সাহিত্যের ক্ষেত্রে এত বড় স্থান অধিকার করিয়াছে। যাহারা ভাবের চেয়ে জ্ঞানকে প্রধান স্থান দেন, তাহারা রস-সাহিত্যকে গৌণ বলিয়া উপেক্ষা করেন। সাহিত্যের কাজ যখন প্রকাশ, তখন ব্যক্তিগত স্বাদ ও রুচিকে বাদ দেওয়া যায় না। এই স্বাদ ও রুচি কালের তাগিদে পরিবর্তিত হয়। তাই ভাবের সাহায্যে রস-মাহিত্য প্রকাশে যে নিত্যতা ও অনির্বচনীয়তার সন্ধান পাওয়া যাইতে পারে, জ্ঞানের সাহায্যে বাস্তব-সাহিত্য প্রকাশে সেই চিরকালের অথও মাপকাঠি ato করানো সম্ভব নয়। তথ্যবানীশ সাহিত্য ও সত্যধমমী সাহিত্য এক নয়, এবং এক দণ্ডে বিচার্য নয়। তথ্যবাগীশ সাহিত্যে ইশারা, cama ও ভঙ্গির প্রয়োজন স্বল্প। রবীন্দ্রনাথ তথ্যের সংকীর্ণতাকে মুখ্য স্থান দেন নাই, এবং মানুষ যে সত্যের সুৃষ্টিকতা, তা-ই তাহার শ্রেষ্ঠ পরিচয়, তাহার মতে, সাহিত্যের বিষয়টি ব্যক্তিগত, শ্রেণীগত নয়। Bay, সাহিত্যের ব্যক্তি কেবল মানু নয়, বিশ্বের যে-কোনে৷ পদার্থই সাহিত্যে zd তাই ব্যক্তি, Taare গাছপালা নদী পর্বত সমুদ্র ভালো জিলিম মন্দ জিনিস বস্তুর জিনিস ভাবের জিনিম মমস্তই ব্যক্তি,-নিঙ্জের গ্রীকাস্তিকতায় সে যদি ব্যক্ত না হুইল, তাহা হইলে সাহিত্যে সে লজ্জিত। সাহিত্য- ween কল্পনা-শক্তির ও রচনা-শক্তির গুণ বিচার্য। রবীন্দ্রনাথ বলিয়াছেন-- .. *লাহিত্যের বিচান্ত হচ্ছে, সাঠিত্যের aan, সাহিত্যের বিশ্লেষণ নয়। এই aie যুখ্যত সাহ্ত্যি বিষয়ের ব্যক্তিকে নিয়ে, তার জাতিকুল নিয়ে ae wee atiecers এতিহাসিক বিচার কিৎবা তাত্বিক বিচার ceive পারে। বে রকর



Leave a Comment