শ্রীরামকৃষ্ণ ও বাংলাসাহিত্য [খণ্ড-১] | Sri Ramkrishna O Banglasahitya [Vol. 1]

৮ প্রীরামক্বণ ও বাংলা সাহিত্য arenes স্বৃতিচারণের মতো শ্ীরামকষ্ণপ্রসঙ্গে নিজের ভূমিকা সবচেয়ে প্রচ্ছন্ন রেখে তাঁর গুরুর জীবন ও বাণীকেই একান্তভাবে প্রকাশ করতে চেয়েছেন। বাইবেলে, যেমন ঘটনাবলীর বিস্তৃত বিবরণের অপেক্ষা Tes বাণীই প্রাধান্য লাভ করেছে, তেমনি শীরামক্ষষ্ণবানীর মাধ্যমেই প্রীরামক্বষ্ণব্যক্তিত্বকে বিধৃত করার প্রয়াস 'কথামূতে”ও লক্ষণীয়। কিন্তু আধ্যাত্মিক আলোচনার উচ্চগ্রামের পাশা- পাশি Datrgacncaq পরিহাসনিপুণ তীক্ষুসন্কানী মানবিক দৃষ্টি ও আচরণের বর্ণনাও কথামুতের বৈশিষ্ট্য। মহাপুরুষের ব্যক্তিজীবনের এই নাটযগুণান্বিত বাস্তব দিকটি আমরা বাইবেলে পাই না। যীশুর জীবন ও বাণীর সারাংশই বাইবেলের “গস্পেল” বাণীসংগ্রহচত্ৃষ্টয়ের বিষয়বস্তু । মহেন্দ্রনাথ তার দিনলিপির মাধামে নানান দিনের চলমান জীবনপ্রবাহের চিত্রটি পাঠকের সামনে ফুটিয়ে তুলে শ্রীরামক্ষষ্ণজীবনের বিস্তৃততর পরিচয় লিপিবদ্ধ করেছেন। বাইবেলে যীশুর বাণীর সঙ্গে আমাদের পরিচয় atal অনুবাদের মাধ্যমে, তার মুখের কথার ভাষাটি (আরেমিক ) জানলে তাঁর ব্যবহৃত wa ও বাক্য- বন্ধের নিহিতার্থ আরো স্পষ্ট হতে পারতো । সেদিক থেকে শীরামকুষ্ণদেবের বাণীসংগ্রহে “কথামৃত'কার আমাদের কাছে Aatagerncqa বাণীভঙ্গীটি সার্থক- ভাবে তুলে ধরে অশেষ কৃতজ্ঞতা অর্জন করেছেন। AT আধুনিক টেপরেকর্ড- প্রথা এ বিষয়ে আরো সহায়ক হতে পারতো, কিন্তু মহেন্দ্রনাথ যা রেখে গেছেন তা টেপ-রেকর্ডের কৃতিত্বের সমতুল্য | সমকালীন পত্র-পত্রিকায় Anusara বাণীর কিছু কিছু সঙ্কলন আগে থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছিল । ব্রজেন্দনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সজনীকান্ত দাসের সম্পাদনায় প্রকাশিত “সমসাময়িক দৃষ্টিতে প্রীরামকষ্ণপরমহংস' গ্রন্থটিতে OHS বেশ কিছু উদাহরণ Sas কেশবচন্দ্রের উদ্যোগে প্রকাশিত প্রথম যুগের শ্রীরামক্বষ্ণবাণীসংগ্রহ থেকে আরম্ভ করে “কথামৃত' অবধি লক্ষ্য করলে দেখা যায়, প্রথম দিকে প্রচলিত সাধুভাষার পদ্ধতিতেই তাঁর বাণী সংগৃহীত। সুরেশ দত্ত ও রামচন্দ্র দতের সংগ্রহে ও সাধুভাযায় রূপান্তর লক্ষণীয় । মহেন্দ্রনাথই শ্রীরামকৃষ্ণের চলিত ভাষার উক্তিগুলিকে যথাযথ রেখে সে সব কথার নিজস্ব সৌন্দর্য, ARI ও গহন আধ্যাত্মিকতাকে আপন মহিমায় প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ at তুলেছেন, ARMA এই স্বৃতিবিধৃত বাণীসংগ্রহ কতটা! গহণযোগ্য ? এ বিষয়ে বিশ্বদাহিত্যে প্লেটো, আ্যাকারমান, বসওয়েল প্রভৃতির