ভারতাত্মা শ্রীরামকৃষ্ণ | Bharatatma Sriramkrishna

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
জড়বাদী বিজ্ঞানমূলক এই চিন্ত|ধারার পটভূমিতে ভারতের ত্রাহ্মণ্য- স্কতির কী মূল্য রয়েছে, সে কথাটি মনুষাত্বের নিকষে যাচাই করে নেবার প্রয়োজন আজও চলে যায় নি। বরং যতদিন যাচ্ছে, যত সভ্যতা ও মানবতায় ছুস্তর বাধার সমুদ্র দেখা দিচ্ছে ততই বস্তুর অতীত কোন মহত্তর সত্যকে জানবার ও বুঝবার প্রয়োজন আরো বেশী বলে মনে হচ্ছে। এই উপলব্ধির শুভ worl আমরা শ্রীরামকৃষ্ণ জীবনে বিশেষভাবে লক্ষ্য করি। তর্ক, পাণ্ডিত্য বা গ্রন্থ রচনার দ্বারা নয়, জীবনের দ্বারা Saas ভারতীয় সাধনার পরম স!র্থকতা প্রতিপন্ন করেছিলেন--এই জন্যই তিনি যুগস্রষ্টা। সন্কল্পকে কর্মে পরিগত করার জন্য শ্রীরামকৃষ্ণের মধ্যে যে অপরিসীম উদ্যম ও নিষ্ঠার পরিচয় পাওয়া! যায়--সেই Wee আমাদের সর্বদা স্মরণীয়। সাধনার জন্য যখন যেটি করা প্রয়োজন, তিনি ara মন প্রাণ ঢেলে করতে পারতেন। এর জন্যে বিশেষ একটি প্রণালী বা সংস্কারের মধ্য দিয়ে যাবার প্রয়োজন হয়েছিল। ব্রাহ্মণের sty আচার বিচারও কঠোরভাবে পালন করতে হয়েছে। আব এই কঠোর আচার-অন্ষ্ঠান পালনের মধ্য দিয়েই ধীরে ধীরে তিনি সকল ধর্মসাধনার অন্তরালে নির্মল মনুষ্যত্বের যোগস্থত্রটি আবিষ্কার করে ইসলাম বা MS ধর্মের সাধনানুভুতির অধিকারী হতে পেরেছেন। মূলতঃ মাতৃভাবের সাধক হলেও মধুর হতে দাস্তয সব ভাবেই অন্তরের পরিপুষ্টি সাধন করেছেন। ভক্ত হয়েও অদ্বৈতের উপলন্ধিতে ব্রম্মস্বরূপ হতে পেরেছেন। “এ যুগে তার ত্যাগই হলো বিশেষত্ব __স্ীঞ্জীমায়ের এই কথাটিব মধ্যে Barrera স্বধর্মট ফুটে উঠেছে। সমন্বযয়-_এক হিসাবে ভারতের চিরন্তন বাণী। ত্যাগ--সেও ভারতবর্ধেঁর চিরন্তন আদর্শ। কিন্তু প্রীরামকৃষ্ণের ত্যাগে একটি নূতন বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তার ত্যাগই স্বভাব। কাম্‌-কাঞ্চনের প্রশ্ন তার জীবনেও এসেছে-_-কিন্তু অন্তরের ৮



Leave a Comment