ভারতাত্মা শ্রীরামকৃষ্ণ | Bharatatma Sriramkrishna

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
পার্থক্য, তেমনি পার্থক্য রয়েছে প্রতিটি ব্যক্তির সাধনপদন্থায়। অথচ দেখা যায় অনুভবের ক্ষেত্রে সকলের আশ্চর্য সৌসাদৃশ্য। ভারতবর্ষে এ Bede এত স্বতঃসিদ্ধ যে আজ একথা Bates পুনরুক্তি বলে মনে হয় | কিন্তু উক্তি পুরনো হতে হতে তার জীবন- সত্যও পুরানো হয়ে যায়। বোধকরি, সেই কারণেই সত্যকে পেতে হলে কথা নয়, জীবন প্রয়োজন | তাই তো জীবলীচর্চার সার্থকতা ল্লীরামকৃষ্ণ জীবনের মধ্য দিয়ে আমরা একবার গোটা ভারতীয় সাধনার ধারাকেই USA করতে পারি। বাঙলাদেশে এই ভারতীয় সাধনা ব্রহ্মণ্যবাদের সঙ্গে বৌদ্ধপ্রভাব, বৌদ্ধ প্রভাবের অবক্ষয়ের সঙ্গে তন্ত্রসাধনা, তন্ত্রের পাশাপাশি বৈষ্ণৰ ভাবের ব্যাধারা, ইসলামের রক্ষণশীল মনোভাবের সঙ্গে স্থফী সাধনার প্রিয়তম মন্ত্র সব কিছুতে মিলে এক বিচিত্র রহস্যময় রূপ নিয়েছিল । উনিশ শতকে খুষ্ট-ধর্মের নামে প্রতীচ্য সভ্যতার ছনিবার আকর্ষণ এসে একেবারে রূপাস্তর ঘটাতে বসেছিল। তখন এই বহুশাখায়িত হিন্দুধর্মের মূল কাটি খুঁজে নেওয়ার একটি প্রবল cos দেখা দিল ব্রাম্মধর্মের আন্দোলনে । সে আন্দোলন এই অর্থে বুদ্ধিধর্মী যে, তার প্রবর্তকদের কেউ ঈশ্বরের সাথে আলাপ ক্রেন নি। চাপরাস পান নি। Saree এই বুদ্ধিগত আন্দোলনকে জীবনসাধনার স্পর্শে পরিপূর্ণ করে তুললেন। ALS সত্যের প্রাণ ও পূর্ণতা । গ্রীরামকৃষ্ণ তার সাধনস্থত্রে একসঙ্গে তিনধর্মের বছবিচিত্র ভাবের মণিখগুগুলি গাথলেন। আর তাদেরই সঙ্গে বাধা পড়লো৷ ইসলামের সাধন খৃষ্টধর্মের অনুভব। উপলব্ধির এই বিরাট সমুদ্রতীরে দাড়িয়ে বিবেকানন্দ, ব্রহ্মানন্দ কি ভেবেছিলেন, কিছুই কি বলে যেতে পেরেছেন ? মনে হয় না। সবই আভাসে, ইঙ্গিতে। তার বেশী নয়। আমরা যারা সে AHA গল্প শুনি তাদের কাছে একথাই বড়-- ভগবান আছেন। ব্যাকুল হয়ে প্রার্থনা করলে তাকে লাভ করা যায়। ৬



Leave a Comment