চতুষ্কোণ [সংস্করণ-১] | Chatushkon [Ed. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১৬ চতুদ্কোণ মনোরমার সহানুভূতি আদায় করিয়া একটু সুখ ভোগ করে। খোকাকে CAG বলার জন্য মনোরমা এমন খাপছাড়া ভাবে ফৌোস করিয়া না উঠিলে সে হয়তো বিনা দ্বিধাতেই ব্যাপারটা তাকে বিশদভাবে ব্যাখ্যা করিয়া শুনাইয়া দিত। এখন ভরসা পাইল না, খোকাকে উপলক্ষ করিয়া অসাধারণ ধীরতা, শ্থিরতা, সরলতা আর সুবিবেচনার পরিচয় দিয়া মনোরমা তার মনে যে অগাধ শ্রদ্ধা সৃষ্টি করিয়াছিল, কয়েক মিনিট পরে খোকাকে উপলক্ষ করিয়াই মনোরমা নিজেই আবার সে শ্রদ্ধা নষ্ট করিয়া দিয়াছে। সব কথার ঠিক মানেই যে মনোরমা বুঝিবে সে ভরসা রাজকুমারের আর নাই। কে জানে নিজের মনে ব্যাপারটার কী ব্যাখ্যা করিয়া সে কী ভাবিয়া বসিবে তার সম্বশ্ধে! তাই সে বিরস্ত হওয়ার ভান করিয়া জবাব দিল, গিরি দরজা খুলল, কে আবার খুলবে? মনোরমা কতক্ষণ কী যেন ভাবিল। মুখের গাম্ভীর্য ক্রমেই তার কমিয়া যাইতেছিল। একটা কথা তোমায় বলি ভাই, রাগ কোরো না কিন্তু। তোমার ভালোর জন্যই বলা। আমি কিছু ভেবে বলছি না কথাটা, শুধু তোমাকে সাবধান করে দিচ্ছি। জেনে শুনে যদি দরকার মতো তোমায় সাবধান করেই না দিলাম, আমি তবে তোমার কীসের দিদি? অত বেশি যখন তখন গিরিদের বাড়ি আর যেও না। কেন? আহা, কেমন ধারা মানুষ ওরা তা তো জানো? গেঁয়ো অসভ্য মানুষ ওরা, কুলিমজুরদের মতো ছোটো মন ওদের, সব কথার বিচ্ছিরি দিকটা আগে ওদের মনে আসে। বড়ো হলে ভাইবোন যদি নির্জনে বসে গল্প করে, তাতেও ওরা ভয় পেয়ে যায়। বড়ো সড়ো একটা মেয়ে যখন বাড়িতে আছে, কী দরকার তোমার যখন তখন ওদের বাড়ি যাবার? বিপদে পড়ে যাবে একদিন। ওইটুকু একটা মেয়ে- মনোরমা বাধা দিয়া বলিল, ওইটুকু মেয়ে মানে? আজ মেয়ের বিয়ে দিলে ওর মা একবছর পরে নাতির মুখ দেখবার আশায় থাকবে। ওরা তো আর তোমাদের মতো মানুষ নয় রাজুভাই যে GAP দেখায় বলেই ভাববে আজও মেয়ের FF পরে থাকার বয়েস আছে! যেমন ধরো ও বাড়ির fats, গিরির চেয়ে বয়সেও বড়ো এমনিও বড়ো দেখায় ওকে। সেদিন রিণিকে একা নিয়ে তুমি বায়স্কোপ দেখাতে গেলে, একদিন গিরিকে নিয়ে যাবার কথা বলে দেখো তো ওর বাপ মা কী বলে? মনোরমার মুখের wer একেবারেই উপিয়া গিয়াছে, তার সুন্দর মুখখানিতে থমথম করিতেছে কথা বলার আবেগ। তারপর ধরো সরসী। ওর বাড়স্ত গড়ন দেখলে তামারই ভয় করে, সে দিন তুমি ওর হাত ধরে টানছিল-_ তামাশা করছিলাম।



Leave a Comment