ত্রয়ী [সংস্করণ-২] | Trayee [Ed. 2]

বাঙ্মীকি ও কালিদাস te দিয়া যায় সেই সাধনাকে স্বীকার করিয়া --অর্থাৎ আত্মসাৎ করিয়াই আরম্ভ হয় নবযুগের যাত্রা । এক যুগকে অপর যুগ এমনই করিয়া স্বীকার করিয়] আত্মসাৎ করিয়! না লইলে মানুষের ইতিহাসের 'আদিযুগের আর শেষ হইত না,-_নতুবা প্রতিযুগকেই ত আবার প্রথম হইতে নুতন sha যাত্রা WH করিতে হইত | এক যুগের সাহিত্য তাই যুগের বুকে ফুলের মত ফুটিয়া উঠিয়া নিজেকে প্রসারিত করিয়া fen যায় নব নব সম্ভাবনার বীজরূপে নব- যুগের নবীন উর্বর ক্ষেত্রে । বাল্মীকির বীজ তাই ফুটিয়া ওঠে কালিদাসের নূতন ফুলে, আবার কালিদাসের প্রতিত! ও সাধনা বীজরূপে ঝরিয়া পড়িয়া নূতন নূতন ফুল ফুটাইয়াছে রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য-সথষ্টিতে উনবিংশ এবং বিংশ শতাব্দীতে । বাল্মীকির ভাব ও Sta, তাহার দৃষ্টিতঙ্গি ও প্রকাশতঙ্গিকে কালিদাস সগর্বে গ্রহণ করিয়াছেন। তাঁহার উত্তরাধিকারকে প্রকৃতরূপে গ্রহণ এবং নিজের সাধনায় তাহাকে নান| ভাবে উত্তরোত্তর বাড়াইয়া তোলা--এইখানেই ত উত্তরাধিকারীর উত্তমাধিকারিত্ব। পিত্- পিতামহের সঞ্চিত ধন-রত্বকে গ্রহণ করিবার এবং ব্যবহার করিবার ক্ষমতা যাহার নাই সে ত অতাগ্য বঞ্চিত । কালিদাসের সে ক্ষমতা ছিল, তাই pik তিনি বাল্মীকির যোগ্যতম উত্তরাধিকারী | বাল্মীকির নিকট হইতে প্রাপ্ত সকল দায়ভাগ গ্রহণ সত্ত্বেও কালিদাসের প্রতিভা অগ্নানজ্যোতিতে স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত। কালিদাস তাহার লব্ধ দায়ভাগের দ্বারা কোথাও আচ্ছন্ন বা fab wer, তাই তাঁহার “অপুর্ব বস্তু নির্মাণ-ক্ষমা-প্রজ্ঞা” প্রতিভা! তাহার নব নব উন্মেষণী শক্তিতে অব্যাহত তাবে নিত্য নূতন Re করিয়া চলিয়াছে। আসলে কালিদাস বাল্মীকির সকল দানকে সহজ তাবে গ্রহণ করিয়াছিলেন প্রককৃতির দানের Ww তাহার কবি-মানসের ভিতরে তাহার চারিপাশের জীবন--আলো-বাতাস, নদ-নদী, পাহাড়-পর্বত, বন-প্রামন্তর যেমন করিয়া Prt ভিড় করিয়া বাসা- বীধিয়াছিল, বান্মীকির নিকট হইতে aa সকল fowl, ora, আদর্শ তেমন করিয়াই তাহার কবি-মানসে বাসা বীধিয়াছিল। এই সকলের সমবায়ে গঠিত তাহার সমগ্র কবি-মানস; সেখানে স্বোপাজিত ধন এবং ঝকৃথ-হত্রে লব্ধ ধনের তিতরে কোনও ভেদ নাই । প্রাচীনের সকল উপাদান তাহার “হৃদয়-বৃত্তির জারক-রসে জারিত? হইয়া একেবারে তাহার নিজস্ব হইয়া গিয়াছিল ; ইহাকেই বলে প্রাচীনের স্বীকরণ। কালিদাসের কাব্য পড়িতে পড়িতে