হজারীপ্রসাদ দ্বিবেদীর প্রবন্ধ সংগ্রহ | Hazariprasad Dwiwedi Prabandho Sangrah

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
এক অশোক ফুল অশোকে আবার ফুল ফুটেছে। এই ছোট্ট ছোট্ট লাল লাল ফুলের মনোহর was কি মোহন ভাব। অনেক চিস্তাভাবনা করে কন্দর্পদেব লক্ষ লক্ষ মনোহর ফুল বাদ দিয়ে কেবল যে Api ফুল নিজের Stara স্থান দেওয়ার যোগ্য মনে করেছিলেন, অশোক তার মধ্যে একটি | কিন্তু পল্লবিত অশোক দেখে আমার মন উদাস হয়ে যায়। এজন্য নয় যে সুন্দর কোনও FS হতভাগ্য মনে করায় আমি বিশেষ আনন্দ পাই। কিছু লোক অবশ্য পান। তারা দূরদ্রষ্টা, যা কিছুই সামনে পড়ে, তার জীবনের শেষ মুহুর্তের হিসাবনিকাশ করে নেন; আমার দৃষ্টি এতদূর যায় না। তবুও আমার মন অশোক ফুল দেখে উদাস হয়ে যায়। আমার Ges হয়তো আসল কারণ জানেন, কিছুটা অনুমান আমিও করতে পারি। বলছি। ভারতীয় সাহিত্যে, এজন্য জীবনেও, এই ফুলের আসা ও যাওয়া দুটিই বিচিত্র নাটকীয় ঘটনা। এমন তো কেউ বলতে পারবে না যে, কালিদাসের আগে ভারতবর্ষে এই ফুলের নাম কেউ জানত না; কিন্তু কালিদাসের কাব্যে শোভা ও সুকুমারত্বের যে ভাব নিয়ে এসেছে তা প্রথমে কোথায় ছিল। নববধূর গৃহপ্রবেশের মতো এই আসায় শোভা গরিমা পবিত্রতা ও সুকুমারত্ব আছে। হঠাৎ মুসলমান সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে এই মনোহর ফুল সাহিত্যের সিংহাসন থেকে স্থানচ্যুত হলো। যেভাবে বুদ্ধ, বিক্রমাদিত্যের নাম মনে করা হয়, সেইভাবে অশোক ফুলের নাম পরেও মনে করা হতো। কালিদাসের কাছে অশোক অপূর্ব সম্মান পেয়েছে। সুন্দরীদের আসিঞ্জনকারী নূপুর পরা পায়ের মৃদু আঘাতে Bow, কোমল গালের ওপর কানের দুল হয়ে ঝুলত আর চঞ্চল নীল চুলের অচঞ্চল শোভা হাজারগুণ বাড়িয়ে দিত। মহাদেবের মনে ক্ষোভ সৃষ্টি করত, মর্যাদা পুরুষোত্তমের হৃদয়ে সীতার ভ্রম সৃষ্টি করত ও মনোজন্মা দেবতার ইশারায় কাধের ওপরেই ফুটত। অশোক কোনও কুশল অভিনেতার মতোই ঝপ করে রঙ্গমঞ্চে এসে দর্শকদের অভিভূত করে চলে যেত। কেন এরকম হলো? আজও কবিদের দুনিয়ায় কন্দর্পদেবের অন্যান্য বাণের কদর তো একই রকম আছে। অরবিন্দকে কে ভুলেছে, আমকে কেউ ভুলেছে আর নীলোৎপলের মায়াত্যাগ কে করতে পেরেছে? নবমল্লিকার অবশ্য এখন বিশেষ আদর



Leave a Comment