রহস্যভেদী নীল ব্যানার্জি ২ | Rahassyabhedi Neel Banerjee 2

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
করে পরিবেশে সমতা রাখার চেষ্টা করেছেন। AST মিষ্টি, রুমফ্রেশনার সারা ঘরে ম ম করছে। 7 নীলকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেই মহারানী ব্যস্তসমস্ত হয়ে এগিয়ে এলেন। --দাদা, এতো দেরি করলেন কেন? এদিকে দেখুন তো কী ঝামেলা। -_কেন? কীসের ঝামেলা? -_আর বলেন কেন, কাল সন্ধে বেলা আপনার দাদা হঠাৎ বুকে ব্যথা নিয়ে শুয়ে পড়েছেন। ডাক্তারের কড়া নির্দেশ ওপর থেকে নীচে নামা চলবে AT | এখন চুপ করে শুয়ে থাকতে WA | নইলে CUPS আ্যাটাকের সম্ভাবনা আছে। নীল বলল, -__বউগান, বয়েসটাকে তো আমরা কেউ পেছোতে পারিনা। আর বয়েস তার ধর্ম পালন করবেই । তা শিবাজীদা এখন কেমন আছেন? - প্রথম ধাক্কাটা সামলেছেন। তবে একটা কথা আপনি ঠিকই বলেছেন। ইনএভিটেবল ইজ অলওয়েজ আ্যান ইনএভিটেবল। কে আর তাকে এড়াতে পারে? সে যাক। দাদার সঙ্গে আপনার দেখা হবেই। জানেনই তো উনি কী রকম মানুষজন ভালোবাসেন। আমাদের নীচের এই হলঘরের প্যারালাল দোতলায় আর একটা ঘর আছে। ওখানেই আজ ডিনারের বন্দোবস্ত করা হযেছে। উনি চান ওনার সামনেই সবাই খাওয়া দাওয়া করুন। উনি ঘরের একেবারে CIA একটা ডিভানে আধশোয়া অবস্থায় আছেন আপনাদের আপ্যায়ন করার জন্যে। ডাক্তার বলেছেন, কোন উত্তেজক কথাবার্তা না বলে নীরবে সব কিছু দেখতে পারেন। তাতে কোন বাধা নেই। এমন কি অনুত্তেজক হাসিঠাট্টাতেও যোগ দিতে পারেন। ওঠা কিন্তু একেবারেই বারণ। কথা বলতে বলতেই, 'হাই মিসেস ভাটিয়া” বলেই মহারানী দেবী, “এক্সকিউজ মি ব্যানার্জিদা' বলেই কেটে যাওয়া ঘুড়ির মতো colle খেয়ে অন্য প্রান্তে চলে গেলেন। নীল আর দীপু দুটো খালি আসন পেয়ে বসে পড়ল। সঙ্গে সঙ্গে একজন উর্দিপরা বেয়াড়া হার্ড ড্রিক্কসের ট্রে এনে সামনে ধরল। এসব ব্যাপারে দীপু খুবই তৎপর | প্রায় cal মারা ভঙ্গীতে একটা গ্লাস তুলে নিল। নীল একটা গ্লাস হাতে নিতে নিতে চাপা গলায় বলল, --তুই এত হাঘরেপনা করিস কেন বলত? AZ ব্বাবা, তুমি আবার হাঘরেপনা দেখলে কোথায়? SAS চাতককে কী তুমি হাঘরে বলবে না কাঙাল বলবে? কিছুই বলবে না। বরং বলবে প্রকৃতির কী অনবদ্য মহিমা। -_আবার? -_কী? --_বকবকানি শুরু করলি? - ঠিক আছে। আর বকবো না। কিন্তু তুমিও আর আমার দিকে তাকাবে না। বিশেষ করে অমৃতপাত্রের দিকে। ১৬



Leave a Comment