For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)১৮ রহসাবৃত ভাওয়াল REI, বাংলা ১২০০ সনে তাকেও সরকার 'রাজা বাহাদুর” উপাধিভূষিত করেন।
১৯০১ ধিস্টাব্দে তার মৃত্যু হল। তিন পুত্র রণেন্দ্রনারায়ণ, রমেন্দ্রনারায়ণ আর
রবীন্দ্রনারায়ণকে নিয়ে বিলাসমণি বিধবা হলেন। তাঁদের অছি হয়েই তিনি
জমিদারি চালাতে লাগলেন যতদিন পর্যন্ত না কোর্ট অফ ওয়ার্ডস (সম্পত্তি
অভিভাবকহীন) হল। ইংরেজ সরকার কোর্ট অফ ওয়ার্ডসকে তার নজরদারির
ভার দিলেন তখন। ১৯০৭ সালে বিলাসমণির মৃত্যু পর্যন্ত এভাবেই চলতে
থাকে। তিন পুত্র ছাড়া রাজেন্দ্রনারায়ণের তিনটি কন্যাও ছিল। রণেন্দ্রনারায়ণের
বড়ো ছিলেন দুই দিদি-_ইন্দুময়ী আর জ্যোতির্ময়ী আর রবীন্দ্রনারায়ণের পরেই
জম্মেছিলেন তড়িন্ময়ী। এই তিন বোনের স্বামীরা ছিলেন যথাক্রমে গোবিন্দচন্দ্র
মুখোপাধ্যায়, জগদীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় এবং ব্রজলাল বন্দ্যোপাধ্যায়। বড়োকুমার
রণেদ্দ্রনারায়ণের বিয়ে হয়েছিল সুখ্যাত সুরেন্দ্র মতিলালের (পরে ইনি এই
পরিবারের ম্যানেজারও হন) কন্যা সরযুবালার সঙ্গে । মেজকুমার রমেন্দ্রর বিয়ে
হয় উত্তরপাড়ার সুন্দরী বিভাব্তী ব্যানার্জির সঙ্গে (এঁর অগ্রজ সত্যেন্দ্রনাথ
আমাদের এই “মনোহর কহানিয়া'র নাটের গুরু) এবং ছোটোকুমারের স্ত্রী ছিলেন
আনন্দকুমারী। কোনো ভাইয়েরই সম্ভান হয়নি। শেষ অবধি ছোটোরানি
আনমন্দকুমারী তার নিজের ভাইপোকে দত্তক নেন সরকারের অনুমতিতে | এই
দত্তকপুত্রের নাম হয় রামনারায়ণ। এত সব পড়ার পর পাঠককে চশমা মুছতে হবে, মাথা চুলকোতে হবে
কিংবা ঠিকঠাক মনে রাখার জন্যে একটা লম্বা ঘুমও দিতে হতে পারে। কিন্তু
ওই সাধুবাবাকে জানতে হলে এঁদের সবার কথা জানতে হবে, মানতে হবে
এবং মনে রাখতে হবে। এঁদের হাত ধরেই তো রহস্যের জাল একটু একটু
করে খুলে যাবে। এরা সবাই 'চিচিং ফীঁকে' সেই মন্ত্রশব্দরাজি। তাহলে আবার কিছু পরিচয় দিয়ে দিই। তিন কুমারের কথা বলেছি, বলেছি
তাদের বউদের কথা (আবার পরে হয়তো আরও বিস্তারিত বলতে হবে)।
এখন তিন কন্যার সাকিন জানাই। বিয়ে হয়ে গেলেও তিন কন্যার সাকিন
কিন্তু জয়দেবপুর রাজবাড়ি তারা শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন না। জামাই বাবাজীবনরা
ঘরজামাই ছিলেন এমন কথা বলা চলবে না, তবে অনেকটা সেইরকমই।
বড়োমেয়ে ইন্দুময়ীর তিন ছেলে জিতেন্দ্র (বিলু), Protx (az), faster
(টেবু)। এঁর একটি মেয়ে সুরমা-ডাকনাম কেনি। মেজকন্যা জ্যোতির্ময়ীর এক