বিভূতি-রচনাবলী [খণ্ড-৭] | Bibhuti-rachanabali [Vol. 7]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
[fe গানে প্রকৃতির মধ্যে তিনি নিজেই আছেন। বিভুতিবাবুর ঈশ্বরও বিশ্বব্যাপী, তিনি তীর স্থ্টির MAST বস্তুতেও প্রকাশিত । তিনি সমগ্র প্রকৃতির ভিতরে প্রকাশিত। প্রকৃতির oes তাকে ঈশ্বরের সঙ্গে যোগাযোগ ঘটিয়ে can | তিনি এই সৌন্দর্ধের ভিতর দিয়েই তার সঙ্গে commune করতে থাকেন। এর মূলে বিবর্তনের চেতনা নেই, কিন্তু বিশ্ববোধ বিদ্যমান--অনস্ত কোটি গ্রহ- নক্ষত্র মিলিয়ে যে বিশ্ব। আমি মাকাল-লতার কাহিনী থেকে মাগে কিছু উদ্ধতি দিচ্ছি, এ থেকে ta চিস্তার ধারাটি wea করা যাবে | “কার মহতী কল্পনার মধ্যে এ সুন্দর মাকাল-লতার gala, এর শ্যামপত্রগুচ্ছ, এর টুকটুকে রাঙ৷ হুগোল স্থঠাম ফলগুলো ছিল বীজরূপে অধিষ্ঠিত? বাষ্পাগ্লিপ্রোজ্্ল শতশত সহশ্র AVY লক্ষকোটি নীহারিকা যিনি RE কন্পেচেন সেই মহারুদ্রের ভয়াল রূপ কোথায় মহাশুন্ো দূর প্রান্তে; আর কোথায় এই পৃথিবী-গ্রহের এক কোণে Baws নির্জন লতাবিতান , স্ূর্ধের সে বিরাট হাওয়ার apres ae মাইলব্যাপী বায়ুমণগুলের মধ্যে দিয়ে, সজল বর্ষার মধ্য দিয়ে, বসস্ত দিনেই contsatra মধ্য দিয়ে, বনবিহঙ্গকাকলীর মধ্য দিয়ে ব্ন- Sy Vacs মধ্য দিয়ে afters হয়ে প্রভাতের রৌড্ররূপে যে লতাবিতানকে আলো করেচে, আর তারই মধ্যে এই ars feed স্থপুষ্ট রাঙা মাকাল ফল লতাগ্রভাগে দঢবোদুল্যমান ।** “ওমিক্রুন সেটির” অগ্নিলীলার মধ্যে এই গোল গোল রাঙা মাকাল ফলের স্বপ্ন লুকোনো আছে।” মনের এই বিশ্ময় উচ্চ কাব্যে উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠেছে। রচনাটি আগাগোড়াই তাই। তবে “ওমিক্রন ‘cri’ নামক একটি মাত্র অতিকায় ( pulsating red giant ) নক্ষত্রের: উপর, মাকাল ফল WLS, এতখানি নির্ভর কেন করা৷ হল তা অস্পষ্ট রয়ে গেছে। কারণ এই শ্রেণীর লাল দানবাকার তারকা (একে variable stare বলে) তো এ একটি ay | সর্ববৃহৎ নয়। মীরা (বা মীরা সেটি ) নামেও এটি পরিচিত । বিভূতিবাবুর মনে এই মুহূর্তে কি ছিল তা বোঝবার উপায় নেই । কিন্তু তবু এই কাব্যের BT মনকে দোলা দেয়, “ওমিক্রুন সেটি” কোথায় হারিয়ে যায় এর AIA মধ্যে । প্রকৃতির প্রতি বিভূতিবাবুর আকর্ষণ কুত্রিম উপায়ে নয়, বই পড়ে, যত করে সৌন্দর্য বিশ্লেষণ করে তিনি আকর্ষণ বোধ করেন নি। এবং ভঙ্গি হিসাবে তিনি প্রকৃতিকে সাহিত্যে স্থান দেননি। এটি তাঁর প্রাণের জিনিস । [আধ্যাত্মিকতা] বা প্রকৃতির ভিতর দিয়ে ঈশ্বরের লীল| অহুভব করা, এটি বিভূতিবাবুর পক্ষে মানুষ থেকে পালিয়ে গিয়ে নিজন্ম একটি ইনস্থলেটেড পরিবেশ গড়ার ব্যাপার নয়। মানুষকে তিনি কখনো এড়াননি। সরল দরিদ্র মানুষের মধ্যে তিনি নিজেকে আবিষ্কার করেছেন নিবিড়ভাবে । দৈব ক্ষুধার মতোই প্রকৃতির প্রতি তাঁর মানসন্ছুধা, কিন্তু তা মানুষকে বাদ দিয়ে কখনো নয়। রোম্যান্টিক কবিদ্বের মতো প্রকৃতি-বিস্ময়ের মধ্যে বা আড়ালে আত্ম- গোপন করার প্রশ্ন বিভূতিবাবুর ক্ষেত্রে আদে) ওঠে না। ওয়ার্ডসওয়ার্থের সগোত্র সিনি হতে পারেন, কিন্তু ওয়ার্ডসওয়ার্থের সাধ্য কি পথের পাঁচালী বা আরণ্যকের মতো* একখান! বই



Leave a Comment