বিমল সিংহ রচনা সংগ্রহ | Bimal Singha Rachana Sangraha

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
দাড়াও, মহাদেবের যাঁড়টা তোমায় গুঁতো মারবে । নিকয় বুড়ী সরে দাঁড়ায়। মহাদেবের যাঁড়টা হেলতে দুলতে স্বাধীনতার বোঝা নিয়ে চলে যায় হরিশনাথের হলুদ পাকা টাপা কলার ছড়াটা ছিনয়ে নিতে। কলার কাঁদিটা ইডেললেই এর বাড়ী থেকে CHAT | সুধীর দাসের মেঝো ছেলে জয়াদাস চাল কারবারী মুকুল ঘোষকে চুপিচুপি বলে-আজ কিছু টাকা দাও, কাল বাবা যখন মাঠে যাবে তখন গোলা থেকে ধান সরিয়ে নেব ।ইঙেল্লেই -এর কাছে পাওয়া টাকা আর পাচ্ছে কই? কালাচানের ভোরবেলা তুলে আনা শিশির ভেজা বেগুনগুলো রোদে হাতে ঘামে, ঠিক যেন হৃদয় শশির বুড়ো বাপের চোখের কালো তাজ পড়া পাতা বিক্ছে তখন বিকেল বেলায় দরে। কালাচানের মনে মনে তাড়াছড়া কখন যাবে, রমাপতির গদির জম্‌- জমাট বিচার ফয়সলায় আসরে। নালীছড়ার পাহাড়ীগুলো চিত্ত দর্জির ছেঁড়া কাপড় নিয়ে বাশের মশালে সলতে ভরে | অন্যদিকে চিত্ত দর্জি বনমালার নতুন জামাইয়ের হালের জামার জন্য বুকের পাটা জরীপ করতে বলে, তোমাদের গ্রামের ইঙেল্লেই এর জমির ঝামেলা কি হলো? প্রতি হাটবার সকালবেলা শশী শব্দকর বাজার শেষে গোটা বাজারে মুঠো মুঠো চাল, কুঁচকে যাওয়া বেগুন, এক আধটা বিড়ি সবকিছু কোচরটাতে STA! যেতে যেতে সে থম্কে দাঁড়ায় গুণমণির পানের দোকানের পাশে ৷ গুনমণি চেঁচিয়ে ওঠে, আগের পয়সা ঝটপট মিটিয়ে দাও হে! অমর দাসের দোকানের পাহাড়ী মেয়েদের ভীড়। অমরের শুক্‌নো ঠোট দিয়ে পানের খয়েরী পিক্‌ ACT | সে হাসতে হাসতে দীত খিঁচিয়ে পাহাড়ী মেয়েদের ঘামে পিচ্ছিল কম্জিগুলোতে লাল, নীল, হলুদ চুড়ি পরিয়ে লাভালাভ হিসেব করে। অন্যদিকে ওদের সিকি, আধুলির মালার নীচে ছোট ছোট পাহাড়গুলোর দিকে আড় চোখে BTA | ফিক্‌ করে হাসে খাসিয়া মেয়েটা | পাশ দিয়ে রমাপতির কর্মচারী ধনবাবু ও ইঙেল্লেইকে হাঁকাতে AMT যায়। মহাজন রমাপতি পোদ্দার গদীতে বসে ইঙেল্লেই-এর স্বামী ধনবাবুকে ডেকে পাঠায়। পেট্রোমেক্স বাতিতে পাম্প করার জন্য মাঝে মাঝে কর্মচারীদের ধমকায়। কখনো দু-একজন খদ্দেরের সাথে পয়সা হিসেব বরে। গদির সস্তা সাদা সালুর ওপরে বসে রসিয়ে আলাপ করে গীও প্রধান বিপিন পাল আর তহশীলদার অনঙ্গবাবু। আমীনউল্লা থানে সাজানো কাপড় নামিয়ে Heat দামের ডোরাকাটা লুঙ্গি দেখে। ইঙেল্লেই বাজারে চাল বিক্রি শেষ করে ধন বাবুর সাথে রমাপতি পোদ্দারের গদীতে চলে যায়। ধনবাবু চৈত্র মাসের গরমে জামা খুলে ঘুরিয়ে বাতাস করতে করতে পায়ের ফাটায় একপথ ধুলো নিয়ে গদীর পাশে একটা খালি বেঞ্চিতে বসে পড়ে। ওর গালের একপাশে দাতের মাড়ির কোণায় জর্দা দেওয়া পানের খিলি। ওদিকে দোকানের কর্মচারী মণীন্দ্র পাহাড়ী মণিরামকে বাঁশের চোঙে কম তেল দেওয়ায় তর্ক শুরু হয়। গাও প্রধান বিপিনবাবু চায়ের পেয়ালায় FA -র-র আওয়াজ তুলে চুমুক টানে | রমাপতি পোদ্দার আসন করে বসে পায়ের কালো চেটোয় সোনার আঙটি পরা হাতে চাপড়্য়। ওর খালি গায়ে ঘামে ভেজা লোমের সাথে সাদা সূতোর পৈতেটা লেপ্টে রয়েছে। আরমান আলির মোকদ্দমায় বিপিন বাবুর কেরামতির ব্যাপারটা হচ্ছে এই রসের আলাপের বিষয়বস্তু । ইঙেল্লেই এর মেয়ে রীতার বিয়ে হল- সে প্রায় বছর খানেক আগের BA | সেই বিয়েতে ইঙেল্লেই-এর স্বামী ধনবাবু ১০



Leave a Comment