সোভিয়েতের দেশে দেশে | Sobhiyeter Deshe Deshe

তারি তাজ্জব! ইংরেজ বিদায় হবার পর সরকারি-লোক রাতারাতি খোলস ফেলে ভদ্রলোক ইহয়েছেন। রামা-শ্যামাদের চেয়ারে বসিয়ে ছুটোছচুটি করে কাজ চুকিয়ে দেন। এবং একেবারে মুফতে। পাশপোর্ট stars করে উদ্বেগ বেড়ে গেল। চিঠি আসে-আসে, তবু আসে না। দেশেষরে যেন জল-বিছুটি মারছে, ডাক-পিওনের পাগড়ি দেখলেই মন আকাশের COT ধরতে ওড়ে । এলো অবশেষে নিমন্ত্রণের চিঠি নয়, অন্য এক খবর -- স্ট্যালিনের মৃত্যু স্ট্যালিনের সঙ্গে সঙ্গে অনেক মতলব বানচাল হল। অনেক ব্যবস্থ৷ উল্টো- পাল্টা হয়ে গেল | তলস্তয়ের উৎসবটাও একরকম নমো-নমো করে সারল নিজ দেশের মধ্যে । কিন্তু আমার যে হাত কামড়ানোর অবস্থা! ঘরে বসে দিনের পর দিন যাচ্ছে। পাশপোর্টের মেয়াদ কমছে। মেয়াদ কমছে জীবনেরও। যঘৃমিয়ে পড়লে নাকি হুকুমের দৈত্যবর ? যা ভাবি, তা আর ঘটে কই? হেন কালে কানে এলো দাওয়াত এসেছে সোবিয়েত থেকে । এটা একেবারে আলাদা ব্যাপার। সোবিয়েতের সংস্কৃতি-বিভাগ--যার নাম হল Corea ভারতের গুণীজ্ঞানীদের দেশ দেখতে ডেকেছেন। মানুষ বাছাই করছেন ভারত-সোবিয়েত সংস্কৃতি-সমিতি। পশ্চিম-বাংলায় তার শাখা আছে--এখান- কার তাগে 'ফেলেছে চার জন। শাখাধীশরা তেড়েফঁড়ে চারের জায়গায় একেবারে পুরো ডজন নাম পাঠিয়ে বসলেন। এবং অধমের নাম এগারো নম্বরে । Ot নেই জ্ঞান নেই --এবং এ দুটো না হলেও অনুকল্পে যা দিয়ে কাজ চলে, ধনও নেই । এর অধিক অতএব কি করে সম্ভবে? গতিক দাড়াচেছ এখন, আমার উপরের GBS ছয় ব্যক্তির যাওয়া পণ্ড হবে কোন না কোন গতিকে | এই ধরুন, অসুখ করল কারো, fea ছেলে (বা ছেলের মা) কাঁদছে ভীষণ ভাবে, অথবা পাশপোর্ট মিলল না ইত্যাদি, ইত্যাদি |. তবেই আমার ডাক পড়বে । এতজনের ব্যাপারে যুগপৎ এত উৎপাত--পাপ কলিযুগে ইচছাশক্তির উপর এতদূর ভরসা রাখা যায় না। পাশপোর্ট অতএব বাক্সবন্দি থাকুক যথারীতি--নাড়াচাড়৷ করবার গরজ দেখিনে। কী তাজ্জব! বিড়ালের তাগ্যে শিকা ছিঁড়নই শেষ অবধি। একচক্ষু হরিণ কিনা, ও পথটা নজরে আসেনি | শাখারা যা করবার করলেন, বন্ধের কেন্দ্রীয় দপ্তর তদুপরি সারা ভারত থেকে নটি প্লাণী বাছাই করে নিলেন। অধম তার ভিতরে। অত দূরে কি করে নাম CA ছে গেছে--কেউ বলে থাকবে, লোকটা Tore যাচেছতাই লিখলেও চীনের বই TCH) হাই তুলতে তুতে 8