জিয়ন নদী | Jiyan Nadi

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
“হুম। আমার বয়স একুশ, বিকম থার্ড ইয়ার। এই কিউবিকলে আমিই বস। যা বলব সব অক্ষরে-অক্ষরে মানতে হবে কিন্তু!” “মানব,” বাধ্য মেয়ের ভঙ্গিতে জানাল রাধা। “বেশ, তা হলে শুরু করো ভাউচিং।” সায়ন একটা জার্নাল, ফাইলভরতি ইনভয়েস এবং একখানা পেনসিল এগিয়ে দিল রাধার দিকে। বলল, “তুমি যত বড় হনুই হও, পড়াশুনোয় যত ভালই হও, এখন কিছুদিন শুধু ভাউচিং করে যাও। সব মহাজনই শুরু করেছে ওই থেকে।” গলা নামিয়ে বলল, “ওই অশ্রুজিৎ সান্যাল ও করেছে, আর তার বাঘা বাবাও করেছেন এককালে।” রাধা হেসে বলল, “আর তৃমি?” “আমি!” সায়ন de ঝাঁকিয়ে বলল, “আমি কোন খেতের মুলো যে ভাউচিং না করে পার পাব?” রাধা হাসতে-হাসতে জার্নাল ফাইল ইত্যাদি কাছে টেনে নিয়ে কাজ শুরু করল। ভিতরে-ভিতরে বেশ হালক৷ বোধ করল OH অফিস মানেই নাক-মুখ গুজে একটা ভয়ংকর কাজের জায়গা, এই ভুলটা ভাঙল। ভাবল, এখানে পরিবেশটা একেবারেই দমবন্ধ করা AT! কাজ আছে, কাজের মাঝে হাসিঠাট্টাও আছে। দেখতে-দেখতে অফিসের সকলের সঙ্গে পরিচয় হয়ে গেল। (যে জনাদশেক আটিক্লড ক্লার্ক আছে এখানে, তাদের বয়স আঠারো থেকে বাইশের মধ্যে। বেশিরভাগই পরস্পরকে “তুই-তোকারি' করে। AHH হয়ে যাওয়ার পর তাদের ACH MANS সেই সম্পর্কের অংশীদার হল। ক্রমশ WY সম্পর্কে অনেক তথ্যই জানতে পারল। গগন সান্যালই VICI AT কর্তা। ওদিকে আটিক্লড ক্লার্কদের কর্তা হল অশ্রুজিৎ, তাদের যাবতীয় আদেশ-নির্দেশ সে-ই দেয়। সায়নের সঙ্গে অশ্রুজিতের বয়সের তফাত বেশি নয় বলেই হয়তো সায়নকে সে “তুই” ডাকে, সায়ন বলে “Tea, তৃমি'। বাকি আর্টিক্লড ক্লার্কদের সে “তুমি' বলে, তারা তাকে '“অশ্রুজিতদা, ১৮



Leave a Comment