ধূলোবালি | Dhulobali

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ছেলেমেয়েরা আপনাকে ত্যাগ করেছে 1 কিন্তু তার দায়িত্ব তো আমার নয় 1” “তা ঠিক, আমার দায়িত্ব আপনার কেন হতে যাবে 7” একটু চুপ করে থেকে বৃদ্ধ বললেন, “তবে কী করব বলতে পারেন হৈমদেবী ?” “তা আমি আর কি করে বলব ? বেলা বাড়ছে । আমার কাজ আছে 1 এবারে আপনি আসুন ৷ এই অসময়ে কখনই আসবেন না । মিছিমিছি আসেন কেন ? বলেইছিতো কেস করে দিন | এমন উত্ত্যক্ত করলে রে'্ট-কন্ট্রোলে ভাড়া জমা দেবো এবার থেকে | তা কি ভালো হবে ?” “না | না | আমি চলি । ঠিক আছে | আমাকে সেই বাগবাজারের খাল পাড় থেকে আসতে হয় তো | মিনি-বাস চড়ার বিলাসিতাও আজ আর করতে পারি না । যা গরম পড়েছে 1” “আপনার ছেলেমেয়েরা আপনাকে দেখে না কেন ? নিশ্চয়ই কোনো দোষ আছে আপনার 1” “কী করে বলব বলুন ? কপালের দোষ । তবে হ্যা, দোষই তো | দোষ বলতে পারেন | যৌবনের প্রথম থেকে আমার একমাত্র চিন্তা ছিল তাদের ভালো করা ; তাদের ভবিষ্যৎ | নিজের দিকে একবারও তাকাইনি । সব কিছু তাদেরই দিয়েছি । তাদের লেখাপড়ার জন্যে | তাদের বিয়েতে 1 এটাই দোষ ৷ মস্ত দোষ হেমদেবী 1” “তা নয় | তাদের ঠিক করে মানুষ করতে পারেননি । ছেলেমেয়ে মানুষ করা কি চাট্টিখানি কথা ? ক'জন তা পারে 2” “মানুষ তো করেছিলামই | বড় জন “fea, ছোট জন চার্টার্ড আযাকাউন্ট্যান্ট | তাদের মানুষ করে তোলার চেষ্টা তো আমার বৃথা হয়নি | একে কি মানুষ করা বলে না হৈমদেবী ? আমি তো সামান্য টিকিট কালেকটারের চাকরি করতাম | তাদেরই জন্যে আমার প্রভিডেণ্ট ফাণ্ডের টাকা কম্যুট করেছিলাম সেই কতদিন আগে | আমার সাধ্যের বাইরে গিয়েও পড়িয়েছিলাম তাদের | একটু চুপ করে থেকে তারিণীবাবু বললেন, আমার জ্ঞাতিরাও আপনি যা বললেন তাইই বলেন | সবই নাকি আমার দোষে | বলেন, টিকিট কালেকটার হয়ে ঘুষের টাকায় ছেলেদের লাট-বেলাট বানিয়েছো এখন ছেলেরাই তোমাকে না দেখলে আমরা কী করতে পারি ? ভগবানের হাত তো দেখা যায় না হৈমদেবী | তার মার আসে ঠিক সময়ে। কারোরই নিস্তার নেই। পাপ করলে শাস্তি পেতেই হয়। আজ আর Bey” বুড়ো হলে মানুষ বড় বেশি কথা বলে | অসহ্য একেবারে | ভাবছিলেন, হেম | একটু ঢোক গিলে তারিণীবাবু বললেন, “আসলে আমার জ্ঞাতিদের কারো অবস্থাই তো ভালো নয় | নুন আনতেই পাস্তা ফুরোয় | এই বাড়িটিই বাবা আমাকে আলাদা করে দিয়ে গেছিলেন | প্রথম থেকেই আমি এখানে এসেই থাকতে পারতাম | কিন্ত ১৬



Leave a Comment