শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত-প্রসঙ্গ [ভাগ-১] [সংস্করণ-৩] | Sri Sri Ramkrishnakathamrita-prasanga [Pt. 1] [Ed. 3]

৪ শীশীরামকষ্ণকথামৃত প্রসঙ্গ WO) | বহু শাস্ত্রের জ্ঞান অর্জন করলেই যে MRI ভক্ত বা জ্ঞানী হয়, তা নয়। বরং বহু অধ্যয়ন মানুষের বুদ্ধিকে বিভ্রান্ত করে। 'নাহইধ্যায়াদ্‌ বইঞ্ধব্ান্‌ বাচো বিগ্লাপনং হি Ge’ ( বৃহ. উ. ৪।1৪।২১ )--_বহু শাস্ত্র অধ্যয়ন করবে না, কারণ তা বাগিস্তগ্রিয়ের গ্লানিকর। অনেক পড়লে বুদ্ধি বিচলিত BU) বুদ্ধিকে শুদ্ধ করবার জন্য, প্রখর করবার জন্য, একাগ্র করবার জন্যই শান্তর-অধ্যয়ন, কিন্তু “tae বলছেন যে, AS শাস্ত্র অধ্যয়ন করলে উল্টে বুদ্ধি বিক্ষিপ্ত হয়ে যায়। ভক্ত বৈকুষ্টনাথ সান্ন্যালকে ঠাকুর একদিন জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “পঞ্চদনী-টণী পড়েছ ?' সান্যাল মশায় উত্তরে বলে- ছিলেন, ‘or কার নাম, মশাই, আমি জানি না।” শুনেই ঠাকুর বললেন, 'বাচলুম, কতকগুলে। জাঠা ছেলে এসব পড়ে আসে; কিছু করবে না, অথচ আমার হাড় জ্বালায়।* কতক গুলো বই পড়ে তাঁর বদহজম হওয়ায় মানুষ Wesel হয়। সে মনে করে পণ্ডিত হয়েছে, fees afer afer সে যে মৃূর্থ, এ বোধ তার MAA | এইজন্য igs বার বার বলছেন, বহু “tq অধ্যয়ন ক'রে তাকে জানা যায় a | একটু ধর্মভাব এলেই মানুষ গীতা, পঞ্চদশী, বেদাস্তের গ্রন্থ এই সব পড়বার চেষ্টা করে। কিন্তু তার পরিণাম কি হয়? পরিণাম এই হয় যে, পুদ্ধি বিভ্রান্ত হয়। তা হ'পে কি “ty পড়ব A? এমন কথা ঠাকুর বলেননি বা “tye এমন কথা বলেন না৷ প'ড়ব, কিন্তু তার জন্য যে বিবেক দরকার, যে শ্রদ্ধা দরকার, সেই বিবেক, সেই শ্রদ্ধা অর্জন ক'রে তবে পড়ব। শান্তর মাহষকে কতদূর বিভ্রান্ত করে, তা শাস্ত্রের অসংখা মতবাদ থেকে আমরা বুঝতে পারি। কেউ বলছে, শাস্ত্র এই কথা বলছেন; কেউ বলছে, শাস্ত্র অন্য কথা বলছেন। এই নিয়ে আজ পর্যন্ত কোন মীমাংসা হচ্ছে না, এবং TIA A হবার কারণ এই যে, সকলেই cata নিয়ে টানাটানি করছে। শাস্ত্রের তিতরে যে মার বস্ত, তাতে পৌছতে পারছে না। ঠাকুর বলেছেন, “শাল্ত্রে বালিতে চিনিতে মিশেল airy, চিনিটুকু নেওয়া বড়