For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)লেখকের নিবেদন বাংলার বৈষ্টবিক এঁতিহ্ ও বাংলার নবজাগরণের (86081998066) ক্ষেত্রে
১৮৫৯-৬০ সালের লীল-বিজ্বোহ খুব বড় একটা স্থান অধিকার করে আছে।
কিন্তু দুঃখের বিষয়, এই একশত বৎসরের মধ্যে তার কোনো ইতিহাস লেখা
হয় নি, যদিও দেখা যায় যে এই বিদ্রোহ comme বাংলার ইংরেজ
সরকারকেই নয়, তৎকালীন বাঙালী সমাজের সকল শ্রেণীর লোককেই
বিশেষভাবে নাড়া দিয়েছিল। বাংলাদেশে নীলচাষ প্রবর্তন করে ইংরেজ বণিকর| এবং এই নীলচাষেই
ভারতে সর্বপ্রথম ব্রিটিশ মূলধন নিয়োজিত হয়। ভারতবাসীকে লুষ্ঠন করে
যে ype ইংরেজর| আয়ত্ত করত, তার বেশির ভাগই ইংল্যাপ্তে চালাম
করে দেওয়া হত ও সেখানে গিয়ে তা মূলধনে পরিণত হত। ইংরেজের
FSS অর্থের যে অংশটুকু ভারতে থেকে যেত তাই wey নীল, কফি, চা
ইত্যাদি শিল্পে নিয়োজিত হতে থাকে। এইসব মূলধন ইউরোপ থেকে
আলে নি, এদব ছিল ভারতেরই মূলধন । VATS ALF ভারতে TAMA
রপ্তানির যুগ শুরু হয়েছিল অনেক পরে--যখন থেকে রেল, টেলিগ্রাফ ইত্যাদির
নির্মাণ আরম্ভ হল। নীলচাষের প্রথম থেকেই দেখা যায় কৃষকদের উপর নীলকরদের wage
অত্যাচার ও শোষণ। বাংলায় নীলচাযের ইতিষ্ঠাস অন্বেষণ করলে আবার
এও দেখা যায় যে FAST যত অসহায় ও অপংগঠিতই হোক না কেন, তারা
বিদেশী লীলকরদের অমানুষিক অত্যাচার ও শোষণ সব সময় বিনা প্রতিবাদে
we করে নি। নীলচাষের প্রথম থেকেই দেখা যায় যে অত্যাচারের প্রতিরোধ
করতে অনেক সময়ই বাংলার কৃষক সশস্ত্র সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়েছে।
১৮৫৯ সালের পূর্বেও অসংখ্য Leys বাংলার বুকের উপর ঘটে গিয়েছে।
এই বিদ্রোহের মধ্য দিয়ে বাংলার পল্লীসমাজে অনেক বীর সম্ভানের অত্যুদয়
ঘটেছিল, যারা অসাধারণ সাহস, Sel, লাংগঠনিক ক্ষমতা ও বৈপ্নবিক
উদ্যোগের পরিচয় দিয়েছিলেন। বাংলার কৃষকসমাজ যে কি অপুর্ব বৈপ্লবিক
শক্তির ধারক তা নীল-বিদ্রোহের ইতিহাস ভালোভাবেই প্রমাণ করে।