ভারতীয় মহাবিদ্রোহ ১৮৫৭ | Bharatiya Mahabidroha 1857

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
[ থ ] সমাজনিরপেক্ষ অখণ্ড সত্য দাবি করতে পারেননি। বহুধা-বিভক্ত সমাজে দৃষ্টি- ভঙ্গীর বিরোধ অনিবার্য; বিশেষ করে অতি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সম্বদ্ধে--যেমন, ইউরোপের রিফর্মেশন, ফরাসী বিপ্লব, রাশিয়ার বলশেভিক বিদ্রোহ, চীন বিপ্লব ইত্যাদি । মহাপ্রতিভাশালী এঁতিহাসিকও দৃষ্টিভঙ্গীর হাত থেকে রেহাই পাননি, পেতে পারেন না; কারণ, এঁতিহাসিকও একজন সামাজিক জীব | ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্তরোহের ইতিহাস লেখার একটা TW বড় অস্তুবিধা হচ্ছে এই যে, এ সম্বন্ধে যা কিছু লেখা হয়েছে, তা সবই ইংরেজ পক্ষের সাআজ্যবাদী দৃষ্টি- ভঙ্গীতে লেখা। ভারতীয় পক্ষে যারা বিদ্রোহে যোগ দিয়েছিলেন, তারা কোন ইতিহাস বা স্বতিকথা রেখে যাননি। ভারতীয় পক্ষের এই নীরবতা দুনিয়ার ইতিহাসে একটা আশ্চর্য রকমের ব্যাতত্রম। তার ফলে, বিদ্রোহী অঞ্চলগুলিতে যুদ্ধ ও নতুন শাসনযন্ত্র পরিচালনার জন্য কি রকম ব্যবস্থা অবলম্বন করা৷ হয়েছিল, বিদ্রোহীদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় কি কি পরিবর্তন ঘটেছিল, বিদ্রোহীদের ও নেতাদের চিন্তাধারা, আশা-আকাঙ্ক্ষা কিরূপ ছিল, ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তৃতভাবে জানা খুবই Aa সুতরাং প্রাথমিক তথ্যের জন্য বর্তমান গ্রন্থকারকে ইংরেজ পক্ষের লেখার উপরেই নির্ভর করতে হয়েছে! বিদ্রোহের পরাজয়ের পরে, বিদ্রোহী ও ইংরেজ উভয় পক্ষই যে অনেক মূল্যবান দলিলপত্র ধ্বংস করে ফেলেছিল, তাতে কোন সন্দেহ CAS । অবশিষ্ট দলিলপত্রগুলি --্যাদের এঁতিহাসিক yore কম নয়-_দিল্লী, কলকাতা ইত্যাদি স্থানে ন্যাশনাল আরকাইভে রক্ষিত রয়েছে। বস্তুতঃ ন্যাশনাল আরকাইভের দলিলগুলি হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ দলিলের এক রত্নাগারবিশেষ । সেখান থেকে প্রচুর মূল্যবান তথ্যের সন্ধান পাওয়া খুবই সম্ভব। কিন্তু gees বিষয়, সাধারণ লোকের পক্ষে---যারা| এ বিষয়ে কাজ করতে চান, এই সব স্থানে প্রবেশ করার BAAS পাওয়া এক রকম অসম্ভব বললেই চলে । কেবল সাধারণের পক্ষেই নয়, ডাঃ রমেশচন্জ্র মজুমদারের মত একজন প্রতিষ্ঠাবান এঁতিহাসিককেও তাঁর গ্রন্থের ভূমিকাতে অভিযোগ করতে হয়েছে মে, ন্যাশনাল আরকাইভের “এইরূপ শোচনীয় অবস্থার প্রতি কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বারবার ব্যর্থ হয়ে, আমি এইসব কথা বলতে বাধ্য হচ্ছি, দোষ ধরবার Bors নিয়ে নয়, বরং এই আশা নিয়ে যে, এর সত্যকার উন্নতির জন্য জনসাধারণের মধ্যে একটা প্রবল আন্দোলনের a8 হবে ।*



Leave a Comment