গান্ধীজির অর্থনৈতিক দর্শন | Gandhijir Arthanaitik Darshan

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১২ গান্ধীজীর অর্থ নৈতিক দর্শন হতে আর্থিক বৈষম্য কেমনভাবে দূর হবে ? সেজন্য সকলের কল্যাণ- মূলক কোন উন্নয়নকর্মের প্রথম পদক্ষেপ শুরু হবে সর্বশেষের ব্যক্তিটির কল্যাণ সাধনের দ্বারা । সরকারী ব্যবস্থাতেও যদি এই SCBA নীতিকে ফলবতী করার চেষ্টা! করা হয় তবে পরিকল্পনার এক দশকের অধিক কাল পরেও ভারতের গ্রামীণ জনতার সীমাহীন ক্রমবর্ধমান দারিদ্র্যের চিত্র অন্যরূপ গ্রহণ করত । দ্বিতীয় কৃষি-খমিক অনুমন্ধান কমিটার রিপোর্টই তার উজ্জল প্রমাণ। রাসকিনের এই গ্রদ্থের ভিত্তি হচ্ছে বাইবেলে বণিত একটি নীতিমূলক কাহিনী (Parable)>1 এই কাহিনীর মুলগত তত্ত্ব হচ্ছে, ভগবানের রাজ্যে কোন ভেদভাব নাই, সকলেই সমান । “প্রত্যেকের নিকট হতে তার সামর্থ্য অন্যায়ী গ্রহণীয় এবং প্রত্যেককে তার প্রয়োজন অনুযায়ী দেয়'--এই নীতিই হবে আথিক ও সামাজিক সাম্যের নীতি । যে কোন দেশের সমাজব্যবস্থার পুনর্গঠনের জন্য যে নীতিটি সর্বপ্রথমে প্রতিপালিত হওয়া উচিত তা হচ্ছে অস্ত্যোদয়ের নীতি । না হলে আর্থিক উন্নয়নের প্রগতিরেখা উধ্ব'মুখী হলেও দেখা যায় সমাজের SIT অংশ, অনুন্নত সম্প্রদায়ের লোকেদের তেমন কোনই উন্নতি পরিলক্ষিত হয় না। ভারতবর্ষেও ঠিক আখিক উন্নয়নের স্থচৌীতে এই সংকট প্রতিফলিত হয়েছে যা বিভিন্ন সরকারী অনুসন্ধান কমিটার রিপোর্টেই উল্লেখ sal হয়েছে। দ্বিতীয় কৃষি-খমিক অনুসন্ধান কমিটার রিপোর্টে প্রকাশ যে, কৃষি-খমিক পরিবারের মাথাপিছু বাষিক আয় ১৯৫০-৫১ সনে যেখানে ছিল ১০৪ টাকা, ১৯৫৬-৫৭ সালে তা কমে হয়েছে ৯৯৮ টাকা। ১৯৫৬-৫৭ সালে ভারতের জাতীয় আয় মাথাপিছু ছিল ২৯১'৫ টাকা। অর্থাৎ, গড় জাতীয় আয়ের মাত্র ৩৪ শতাংশ ছেল কৃষি-শমিকের আয় । তাছাড়া, শহরবাসীদের আয় প্রথম পরিকল্পনা কালে ৬০০ টাকা হতে বৃদ্ধি পেয়ে woo টাকা ari আর দ্বিতীয় পরিকল্পনা কালে তা আরও বৃদ্ধি পেয়ে ১২০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে । অপরদিকে, গ্রামবাসীদের ১ গান্ধীজীবনী, ১৮শ অধ্যায়



Leave a Comment