চিতোরগড় | Chittorgarh

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ASR! সংযত ভাবে ঘাড় হেলিয়ে জানায় যে দেখেছে রাণাকে মে। কবি বলেন,-_তার কথা তুমি জান ? — ayia বলুন | -_শোন তবে। পদ্মিনী দেবীকে ছিনিয়ে নিয়ে যেতে গিয়ে দিল্লীর স্থলতান আলাউদ্দীন একবার বেজায় ঠকে গিয়েছিলেন। তাই দ্বিতীয়বার যখন এলেন বারো বৎসর পরে, তখন আরও কৃতসংকল্প হয়ে এলেন । অবরোধের ব্যবস্থা আরও মজবুত হল। চিতোরগড়কে রক্ষার আর কোন উপায় রইল না। প্রথমবারের আক্রমণে চিতোরের সমস্ত বীর এবং Agia বীরেরা আত্মবিসর্জন দিয়েছিলেন । এবারেও প্রতিদিনের যুদ্ধে চিতোর ধীরে ধীরে ahaa হতে থাকে। সেই সময় একদ্বিন রাতে রাজ! লক্ষণ সিং-এর সামনে উপস্থিত হলেন স্বয়ং চিতোরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী । বলে উঠলেন,-_ম্যায় sa হু । বারো বছর আগেও একবার তিনি এই ভাবেই রাণার সামনে দর্শন দ্িয়েছিলেন। কিন্তু আলাউদ্দিন ফিরে যাওয়ায় রাণা সেই আবির্ভাবকে নিজের উদ্ভট কল্পনা] বলে ভেবে নিয়ে ভুলে যাবার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু এবারে ? রাজা চোখ কচলে নিয়ে দেখলেন দেবী তখনো দণ্ডায়মান। আবার বলে উঠলেন,-_ম্যায় ভুথা ছ। তবু রাণার বিশ্বাস হল না। পরদিন সভাসদদের নিয়ে আলোচনায় ৰসলেন। স্থির হল, রাতে সবাই মিলে রাজার ঘরে উপস্থিত থাকবেন | সে রাতে অপেক্ষা করতে করতে সবাই যখন MB, যখন তারা রাণার Tees সম্বন্ধে সন্দিহান হয়ে উঠেছে, তখন একটা উজ্জ্বল আলো ফুটে উঠল সবার চোখের সামনে । সেই আলোত্ন ভেতর থেকে বেরিয়ে এলেন দেবী । বললেন, --আমায় অবহেলা করেছ লক্ষ্মণ সিং । মহারাণা ভাঁত হয়ে করজোড়ে বলে ওঠেন,-_মা, আমি বুঝতে পারিনি | আমায় ক্ষমা করুন। বলে দিন কীভাবে আপনার Pata fase হবে। দেবী ROA বলেন, _রাণার WS | ভুলে eal সুধু রাণায় রক্তে। তুলে যেও না, একজন নয়, ছুজনও নয়, বারোজন stirs রক্তে আমার ক্ষুধা মিটবে | সতাসদগণ থরথর করে কাপতে থাকে । লক্ষণ সিং ভগ্ন কণ্ঠে বপেন১--এ তুমি কা বলছ মা? চিতোরগড় যে যুগের পর যুগ পরের অধীনে থেকে যাৰে। 'তার চাইতে আমাকে নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা কর মা। কিন্তু দেবীয় কথায় লৰক্ছু জলের মত “HB হয়ে যায়। লক্ষণ সিং বুঝলেন, তার বাযোজন পুত্র সন্তান | পরতিদ্বিন একটি করে পুত্রকে রাণার পদে ASRS করা হবে। তার পর সে যুদ্ধযাত্মা করলে, আর ফিরে আসবে না। বারোদিনেই বারোজন রাণার রক্তে দেবীর ক্ষুধা মিটবে । কিশোর মুগ্ধ হুয়ে বসে থাকে। বাতিটি নিভে আসছে। বাইরে far পত্তদের অবিরাম গর্জন। সেই গর্জনের লাথে লাখে বিজয়ের পা ঠোকার শব। ১৮



Leave a Comment