ভাষাপরিচ্ছেদ | Bhasha Pariccheda

ছেতুর দ্বারা সাধ্যবস্তু সাধনে সহায়তা করেন এইজন্য তর্ককে অনুমান প্রমাণের সহায়ক বা সহকারী বলা হয় । কিন্তু অনুকুল তর্ক স্বয়ং প্রমাণ নহে I অনেকদ্বলে যখন প্রমাণবিষয়ে সংশয় উপস্থিত হওয়ায় প্রমাণ তাহার প্রতিপাদ্যতত্ত্ব প্রকাশ বা প্রতিপাদন করিতে সমর্থ হয় না, তখন ব্যভিচারূ- সংশয় নিরাকরণের জন্যই অনুকুল তর্কের একান্তই আবশ্যক হয়। তর্কের আকার এইরূপ হইবে_“এই পদার্থ এইরূপ হইবে, এতত্তিন্ন হইবে না” “ধুম বহিিজন্য হইবে, yu afea ব্যভিচারী হইবে না””। নৈয়ায়িক কোন বিষয়ে প্রমাণ করিতে প্রবৃত্ত হইলে পর প্রমাণবিষয়ে বিপয্যয়শঙ্কা বা ব্যভিচারশঙ্ক! -তাহার অভাব বিষয়ে সুদৃঢ় সংশয় উপস্থিত হইলে যে HW cata অনিষ্টের--অনভিমতসাথধ্যের বা ব্যাপ্তিজ্ঞানের প্রতিবদ্ধকীভৃতজ্ঞানের আপত্তি এ সংশয়কে বিনষ্ট করিতে না পারে, সে HS তত্বিযয় প্রমাণিত হয় না। এ অনিআপত্তি দ্বার] প্রমাণের সুদৃঢ় সংশয় বিনষ্ হইলে পর প্রমাণের সংশয়রূপ অস্তরায় না থাকায় প্রমাণ তখন স্ববিষয়ে-_ স্বস্ব সাধ্যসাধনে প্রবৃত্ত হইয়া ফল সম্পাদন করে বা তত্ত্বনিশ্চয় উৎপন্ন করে | অতএব দেখা যায় যে-প্রমাণবিষয়ে যুক্তাযুক্ত বিচাররূপ “তর্ক” ব্যভিচারসংশয় বিনষ্ট করিয়া প্রমাণের উপপত্তি বিধান করে eae Crate পরস্পর বিরোধী CTU মধ্যে একতর ents অনুজ্ঞাকরতঃ প্রবর্তমান প্রমাণকে অনুগ্রহ করেন। অর্থাং Sead সংশয়বশতঃ প্রমাণ স্ববিষয়ে নির্ব্যাপার ছিল, এখন ২শয়রূপ অন্তরায়কে বিনষ্ট করিয়া প্রমাণকে ব্যাপারবিশিষ্ট করে । তখন তর্কানুগৃহীত প্রমাণ তত্ত্বনির্ণয়ে সমর্থ হয় | যদিও সংশয়ের পরই জিজ্ঞাসা জন্মায়, তথাপি অনেকস্থবলে জিজ্ঞাসার পরও সংশয় জন্মায়, সেই সংশয়ই তর্কোপস্থিতির অঙ্গ । তর্ক সেই সংশয়ের পরস্পর-বিরোধী ধর্ম! দুইটির মধ্যে একটির নিষেধ দ্বারা অপরটিকে প্রমাণের বিষয়রূপে অনুজ্ঞা করেন । সুতরাং যে বিষয়ে সংশয় উৎপন্ন হয় বা উপস্থিত হয়, সেই বিষয়েই whe উপস্থিত হয় । এইজন্য যে বিষয়ে সংশয় নাই, সে বিষয়ে তর্ক উপস্থিত হয় না। এই নিমিত্তই সংশয়কে তর্কোপসন্থিতির অঙ্গ বলা হয়। প্রমাণবিষয়ে সংশয় নিরাশই হইল তর্কের ফল । ইহাই তর্কের অনুগ্রহ বলিয়া কথিত | উদয়ানাচার্য্য বলিয়াছেন “afasonwes:”) ভাকফিকরক্ষাকার মতে প্রসঙ্গ শব্দের অর্থ আপত্তি, অনিষ্টের আপত্তিকে তর্ক বলে ৷ অনিষ্ট দুই ভাষাপরিচ্ছেদ ও কারিকাবলী