ক্ষয়িষ্ণু হিন্দু [সংস্করণ-৩] | Khoiashnu Hindu [Ed. 3]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ক্ষয়িফ্ণু হিন্দু ৩ ৭।৮ কোটি লোক অস্পৃশ্য ও অস্তযাজ বলিয়া গণ্য, তাহারা হিন্দুসমাজের মধ্যে নামে মাত্র আছে । আরও ae কোটি লোক হিন্দুসমাজ হইতে বাহির হইয়া fate মুসলমান হইয়াছে এবং কয়েক কোটি খৃষ্টান হইয়াছে। উপরে যাহা বলা হইল তাহার মধ্যে কিছুমাত্র কল্পনা নাই, সমস্তই নিষ্র সত্য । যাহারা হিন্দুসমাজের দুর্গতির কথা foe করিতেছেন, wey উদ্বেগ বোধ করিতেছেন, তাঁহাদ্বিগকে ডাঃ ভগবানদাস জিজ্ঞাস করিয়াছেন, কেন এমন হইল ? যদি ইহা হিন্দুধর্মের বিকৃতির ফল a] হয়, তবে উহার অন্য কি কারণ হইতে পারে? কেহ কেই হয়ত বলিবেন,--তৃতীয়পক্ষের প্ররোচন| ও প্রচারের ফলেই এইরূপ ঘটিয়াছে। কিন্তু আমাদের নিজেদের সমাজব্যবস্থার মধ্যেই যদি ত্রুটি ও gear) না থাকিবে, তবে তৃতীয়পক্ষ তাহাদের অভীষ্ট সিদ্ধ করিতে সমর্থ হইবে কেন ? স্তরাং তৃতীয় পক্ষের স্বন্ধে সমস্ত দোষ চাপাইয়া নিষ্কতি লাভের উপায় নাই । নিজেদের সমাজদেহেই যে ব্যাধি প্রবেশ করিয়াছে, ARICA SEAS প্রতীকারের বাবস্থা করিতে হইবে, অন্যথা আসন্ন ধ্বংস হইতে হিন্দ্‌সমাজকে রক্ষ। করিবার কোন উপায় নাই। ডাঃ ভগবানদাস লিখিয়াছেন, ances যদি কেহ জিজ্ঞাসা করে,-_ হিন্দুসমাজের এই অনৈক্য, বিশৃঙ্খলতা এবং সজ্ঘশক্তিহীনতার কারণ কি, তাহা হইলে আমি দ্বিধাহীনচিত্তে উত্তর দিব--প্রাচীন বর্ণাশ্রমধর্মকে fagw করিয়৷ জাতিভেদে পরিণত করাই ইহার কারণ ।” প্রাচীন বর্ণাশ্রমধর্ম স্বাভাবিক কণ্মবিভাগ বা জীবিকাবিভাগের উপর প্রতিষ্ঠিত ছিল; যে যে-কায্যের যোগ্য, তাহাকে সেই কায্যের অধিকার দেওয়া হইত ৷ উহা সব সময়ে বংশানইভক্রমিক হইত না, অন্ততপক্ষে সেরূপ কোন বীধাধর। নিয়ম ছিল না। কিন্তু উহাই কালক্রমে fags হইয়া 'জাতিভেদে” পরিণত হইল, কর্ম বংশান্ুক্রমিক হইয়া দাড়াইল, স্বাভাবিক যোগ্যতা বা গুণের আর কোন মধ্যাদা রহিল না। কোন ব্রাহ্মণ-বংশজাত যতই মূর্খ হউক না কেন, বেদাধ্যয়ন, যাগযজ্ঞ, পৌরোহিত্যের অধিকার সে পাইবে-ই । ক্ষত্রিয়ের পুত্র কাপুরুষ ও দুর্বল হইলেও যুদ্ধই হইবে তাহার কৌলিক বৃত্তি, বাণিজ্য-বুদ্ধি না থাকিলেও বৈশ্যপুত্রকেই করিতে হইবে শিল্প-বাণিজ্যের দ্বারা জীবিকা-



Leave a Comment