তিন কুড়ি দশ | Teen Kuri Dash

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
তিন কুড়ি দশ ১৩ SSIS | MG TA ভাল নাম ছিল ডাঃ কালীপদ বিশ্বাস। ছিলেন বিখ্যাত উদ্ভিদ্বিদ, এককালে শিবপুর বোটানিকাল গার্ডন্‌সের ছিলেন ডিরেক্টর, পরে ভার নেন বোটানিকাল সার্ভে অফ ইণত্ডিয়ার, এবং ভারতীয় বনৌষধি বিষয়ে হন সরকারের উপদেষ্টা | বাবার বিয়ে হয় ১৯০৬ সালে । আমার মা, শ্রীমতী উষাবতী, সাতচক্লিশ বছর বয়সে ১৯৩৯ সালে Wal যান । অতএব বিয়ের সময়ে তাঁর বয়স ছিল চোদ্দ । বাব] থাকতেন GPA দত্ত লেনের এক মেসে ৷ জঙ্গীপুর থেকে বড়জ্যেঠামশাই এলেন বাবার মেসে আমার দাদামশাই এবং তাঁর পঞ্চম ভাই, নতুনদাদামশাইকে পাত্র দেখাতে। তাঁদের সঙ্গে এলেন রাষ্গামামা। THAT বল্লেন, “আমরা বসার পর, তোমার বড়জ্যেঠামশাই আপ্যায়ন করলেন আমাদের, তারপর তোমার acs ডাকলেন | খুব SA, সথপুরুষ, বলিষ্ঠ এক যুবা, মাথাভতি চুল, সারামুখে ভাল করে ছাটা চাপ দাড়ি আর ChE; ঘরে সলজ্জ পায়ে ঢুকে, গম্ভীর মুখে গুরুজনদের একে একে প্রণাম করলেন | প্রথমে নিজের বড় দাদাকে. তারপর তোমার দাদামশাইকে, তারপর আমার বাবাকে | প্রণাম করে নিঃশবঝে হেঁটে দেয়ালের দিকে মুখ করে, গুরুজনদের দিকে আড়াআড়ি পিছন করে প্টাডিয়ে রইলেন 1 দাদামশাই, নতুন দাদামশাই যে দু একটি প্রশ্ন করলেন, সেগুলির অতি সংক্ষেপে, ঈষৎ ঘাড় নেড়ে, SCH ই), আস্ছে না, উত্তর দিলেন । দাদামশাই, নতুন দাদামশাই যখন নিশ্চিন্ত হলেন যে বাবা প্রশ্ন বুঝতে পারেন, উত্তরও ঠিকমত দিতে পারেন, ভদ্রসন্তানের উপযুক্ত হাবভাব, সহবৎ ও বিনয়ও আছে, wey তার] সমস্নেহে বাবাকে ভিতরে গিয়ে পড়াশুনা] করার অনুমতি দিলেন ৷ বাবা যেন ঠিক বারো তেরো বছরের ছেলে |” রাঙ্গামাম] এমন মজা করে, অঙ্গভঙ্গী ও গলার স্বরের নকল করে গল্পটি বলতেন, যে হাসতে হাসতে আমাদের পেটে খিল ধরে যেত | দাদামশাইয়ের বাড়ি ছিল বালিগঞ্জের ১০ নম্বর লাভলক প্লেসে । সেখানে তিনি সব ভাই ও তাদের পরিবারদের নিয়ে থাকতেন ৷ দাদামশাই, অস্বিকা- চরণ বিশ্বাস বড়বেলুন গ্রাম ছেড়ে কলকাতায় পড়তে আসেন | এফ-এ পাশের পর আর বেশী পড়েননি | এফ-এর পরেই তিনি ভারত সরকারের কমিসারিয়েট দপ্তরে চাকরি পান । চাকরিতে তিনি ধাপে ধাপে উন্নতি করেন | সব ভাইকে একে একে স্কুল কলেজে পড়িয়ে সরকারি চাকরিতে ঢুকিয়ে দেন। দাদামশাই যে কাজ করতেন Sito যতদিন কলকাতা রাজধানী ছিল, অর্থাৎ ১৯১১ সাল পর্যস্ত, প্রতি বছর তাঁকে কলকাতায় শরৎ-হেমন্ত-শীতের ছয়মাস এবং সিমলাতে বসন্ত-গ্রীগ্ম-বর্ষার ছয়- মাস কাটাতে হতো। তাঁরত সরকারের তখন তাই ছিল নিয়ম। বাবার কাছে শুনেছি দাদামশাইয়ের গায়ে ছিল ভীষণ জোর | খুব বলিষ্ঠ ছিলেন | একবার নাকি



Leave a Comment