সেই আয়না | Sei Ayna

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
আছে গোলাপ ফুলের কেয়ারী। যৌবনের ভার ধরে রাখতে পারছে না, লুটিয়ে পড়ছে মাটিতে পাপড়ি। সেখানে উঁচু করে সিমেন্টের গোল বেদী তৈরী হল। পাঁচ সিড়ি ভেঙে উঠতে হয়। মা সবে নববধু হয়ে এসেছেন শ্বগুরবাড়ীতে । সকলে নাম রাখল নতুন কাকিমা। সেই নাম পরিবারে অক্ষয় হয়ে রইল। আজ কোজাগরী পূর্ণিমার শতদল ঢল নেমেছে। মা বেদীতে বসে হারমোনিয়াম বাজিয়ে গাইছেন, “অয়ি বৃন্দাবনে লীলা অভিরাম সভী, আজও পড়ে মনে মোর .....।”” দিলীপ রায় তখন সমযত্বে মেযেদের মনে তোলা থাকত। দিলীপ রায়ের যেমন সুদর্শন চেহারা, তেমনি তার প্রেমময় সন্ন্যাসলীলা। SMT গড়গড়ায় TEE GOS ভড়ং করছেন। মনে মনে বেয়াই মশাইয়ের সাথে বচসা করছেন। “কেমন দেখছেন, বেয়াই মশায়, তোমার মেয়ে আমার বীশবনের শেয়াল ATS বেমানান ঠেকছে কী ?” আবার আয়নার গাঁয়ে রুমাল ঘসে সময়ের ধূসর প্রলেপ মুছি। বয়সে শরীরটা ভারী হয়েছে যদিও, oa কলমে চরণ লঘু রয়েছে। অতীতের দিকে ফিরে দেখা, এক বিলম্বিত মায়ার টান চোখ প্রসারিত করে পেছনের জগতকে অশেষের ধন করে ভরে রেখেছে। যখন সময় ছিল ফিরে তাকাওনি কেন? উত্তরদিকে বাড়িটা পিঠ ফিরিয়ে দাড়িয়ে আছে। সেখানে দিনের অস্তিম আলোর রজনীগন্ধা, হাসনুহানা, কেয়া আর ম্যাগনোলিয়া ফুলের বিজয়মাল্য যেন চক্ষুহীন ছায়াপথে আলিঙ্গন করতো সারা বাড়ীটা। রাতের নিদ্রার বুকে একটা স্বপ্নের কুঁড়ি ফুটে উঠত। একটা আর্স্চযা সুন্দর ফুলের উদ্দাম সৌরভ সারা সংসারকে বৈকুষ্ঠের দিকে ভাসিয়ে নিয়ে চলেছে স্বপ্নের মসনদে বসিয়ে। চোখের পরে ঘুমের কাড়াকাড়ি oF হওয়ার আগে, H.M .V কোম্পানির কলের গান সারা সন্ধ্যা শোনা যাচ্ছিল। — “নীল যমুনার তীরে, রাধা কাদার সুরে ...,” কিং্বা সিরাজন্দৌলা পালার রেকর্ডে বাজছিল সিরাজের পলাশীর যুদ্ধে যাওয়ার আগে বিলাপ, “আলেয়া, আর যদি না ফিরি ? *”* সকলের মনের মেজাজটা ছিল patriotic! মেজাজটা একটু গোলাপী রোমান্টিক প্রগলভতার দিকেও ঢলে পড়েছিল। কার গলায় মালা পড়াই, কার বুকে প্রাণের দহন জুড়োই গোছের সতৃষ্ণ প্রশ্ন মনের কোণে আল্পনা কেটে যাচ্ছিল। নিজেকে কবুল করবার এক confessional বাতাবরণ সেই গাঁয়ের নিশীথে কোন রূপকবাসিনী নিশীথিনী প্রিয়ার ছায়াপথ ধরে বেড়া ভাঙবার চেষ্টা করছিল। sen কেবল জড়িবুটি নয়, মনেরও মালাকার ছিলেন। কিন্তু ধুতির che নিভাজ রাখতেন, আবেগের আতিশয্যে আলুথালু ধুতি তুঁড়ির নীচে কখনো দেখা যায়নি SPH সংসার বুদ্ধি,আর বাগিচার আণাচে কাণাচে মাধুকরী বৃত্তি নিয়ে প্রকৃতির সঙ্গে প্রেমের মন্ত্রগুপ্তি। (এত কথা বুঝবার মতো রস আমার তখন বয়সের গুঁড়িতে গজায়নি অবশ্য | এতই ছোট ছিলাম সংসার সীমান্তে, কমা, ফুলস্টপের আকারে )। আমি সেদিনের সন্ধ্যায় aot জ্বালিয়ে ইতিহাসের waters হাতড়ে বেড়িয়েছি। অবনগঠাকুরের ১৮



Leave a Comment